রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে একটু পরই রায়, গুরুতর সাজা হতে পারে সু চির


গত ১৮ই সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এই আন্তর্জাতিক গণআদালতের ৪৩তম অধিবেশন বসে। আজ সকাল ১০টায় মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে রায় ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার এই আদালতের ৭ জন বিচারক রুদ্ধদ্বার কক্ষে বৈঠকে বসেন। রায়ের খসড়া নিয়ে তারা পর্যালোচনা করেন। ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু করেছিল রোমভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক সংগঠন। ল্যাটিন আমেরিকার স্বৈরশাসকদের বিচারের জন্য যে রাসেল ট্রাইব্যুনাল হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে।

এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে তারা ৪৩টি অধিবেশনে মিলিত হয়েছে। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে। এই ট্রাইব্যুনালের বিচার এবং রায়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করা। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের অধিকারের বিষয়টি বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।


এই ট্রাইব্যুনালে রোহিঙ্গা ছাড়া মিয়ানমারের অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। ওই সব জাতি গোষ্ঠীর নির্যাতিত প্রতিনিধিরা সাক্ষ্য ও জবানবন্দি দেন। সব জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের পেছনে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি উপস্থাপন করা হয়।

বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে তা হলো, মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচি ও তার সহযোগী সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে আনা হয়েছে। বিশেষ করে একটি বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অভিযান ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে এর বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ যে বক্তব্য দিচ্ছে তা এখানে জোরালোভাবে নাকচ করে দেয়া হয়েছে।

এই গণআদালতে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে তার সূচনা সাম্প্রতিক সময়ে নয় ষাটের দশকে হয়েছে। এবং এই নির্যাতনের উদ্দেশ্য জাতিগত নির্মূল।
Share on Google Plus

About Admin

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.