সেটা ২০০৩ সাল। ভারতীয় ক্রিকেট টিম তখন অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে গিয়েছে। টিমের সদস্য ইরফানের সঙ্গে হঠাতই আলাপ হয় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শিবাঙ্গী দেবের। প্রায় প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যান একে অন্যের।
ভারতীয় মিডিয়াম পেসার ইরফান পাঠানের সুইংয়ে কুপোকাৎ হয়েছেন বিশ্বের অনেক নামজাদা ব্যাটসম্যানই।
কিন্তু এই সুদর্শন অলরাউন্ডার প্রেমে ধরাশায়ী হয়েছিলেন এক তরুণীর কাছে। শুধু তা-ই নয়, নিজের সেই প্রেমকে তিনি বিসর্জন দিয়েছিলেন তাঁর দাদা, ভারতের আর এক বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান, ইয়ুসুফ পাঠানের জন্য।
সেটা ২০০৩ সাল। ভারতীয় ক্রিকেট টিম তখন অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে গিয়েছে। টিমের সদস্য ইরফানের সঙ্গে হঠাতই আলাপ হয় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শিবাঙ্গী দেবের।
প্রায় প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ে যান একে অন্যের। যে ক’দিন ট্যুরের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন ইরফান, চুটিয়ে প্রেম করেন দু’জনে।
ট্যুর শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ভারতে ফিরে আসেন ইরফান। শিবাঙ্গী রয়ে যান অস্ট্রেলিয়ায়। তীব্র বিরহে কষ্ট পেতে থাকেন প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনেই। শেষে থাকতে না পেরে ভারতে চলে আসেন শিবাঙ্গী। ভাদোদরায় থাকা শুরু করেন। টানা তিন বছর ভারতেই থাকেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে ইরফান আর শিবাঙ্গী— দু’জনের পরিবারেই আপত্তি ছিল তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে। আস্তে আস্তে নিজেদের পরিবারবর্গকে রাজি করিয়ে নেন তাঁরা। কিন্তু এই সময়েই অন্য একটি সমস্যা দেখা দেয় তাঁদের প্রেমে।
শিবাঙ্গীর ইচ্ছে ছিল বিয়েটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেলার। কিন্তু ইরফান স্থির করেছিলেন, যতদিন না দাদা ইয়ুসুফের বিয়ে হচ্ছে, বিয়ে করবেন না তিনিও। এই শর্ত মেনে নিতে পারেননি শিবাঙ্গী। তিনি ব্রেক আপের সিদ্ধান্ত নেন। সেটাই ভাল বলে মনে হয় ইরফানেরও।
কয়েক মাস আগে অবশ্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ইরফান। দু’বছর প্রেম চালানোর পরে জেড্ডা-নিবাসী পাবলিক রিলেশনস এগজেকিউটিভ তথা মডেল সাফাকে ইরফান বিয়ে করেছেন।
মক্কায় বসেছিল তাঁদের বিয়ের আসর। জন্মগতভাবে ভারতীয় সাফা একজন দক্ষ নেইল-আর্টিস্টও। ইরফানের জীবনে শিবাঙ্গী এখন অতীত। সাফাকে নিয়ে সুখেই ঘর করছেন ইরফান
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.