কালীপুজোয় বাজি পোড়াবেন না তাও কি সম্ভব? বাজি ছাড়া যে এই পুজোর মজাটাই মাটি কিন্তু বাজি পোড়ানোর সময় শুধু আনন্দের খেয়াল রাখলেই তো চলে না, খেয়াল রাখতে হয় সুরক্ষার দিকেও।
আবার অনেক সময় সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও ঘটে যায় দুর্ঘটনা। খারাপ মানের বাজি হাতে ফেটে পুড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে, এমনটা হলে কী করবেন তার জন্য প্রস্তুত থাকুন আগে থেকেই, জেনে নিন পুড়ে গেলে কী করবেন, কী করবেন না।
কী করবেন?
কল খুলে দিয়ে পোড়া জায়গা ঠান্ডা জলের তলায় ১৫-২০ মিনিট ধরে রাখুন। এতে জ্বালা যেমন কমবে, তেমনই ত্বককে বেশি ক্ষতি হওয়ার থেকেও রক্ষা করবে। পোড়া ক্ষতর জায়গা শুকিয়ে গেলে বেশি জ্বালা করে। তাই শুকিয়ে যাওয়া রুখতে অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগান কোনও। সিলভার সালফাডিজাইন লাগাতে পারেন।
মেডিকেটেড গজ দিয়ে পোড়া ক্ষত ঢেকে রাখুন। এই সব গজে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম লাগানো থাকে তাই শুকনো গজ ত্বকের ওপর আটকে যায় না। আবার ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করে। যদি মেডিকেটেড গজ না থাকে তাহলে সাধারণ গজ আলতো করে বেঁধে রাখুন যাতে পোড়া ক্ষতে চাপ না পড়ে। ব্যান্ডেজ ব্যথা কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনই ফোস্কাও পড়তে দেয় না। তবে তুলো লাগাবেন না। শুকনো তুলো ত্বকের ওপর লেগে গিয়ে যন্ত্রণা বাড়তে পারে। অ্যাসপিরিন, ব্রুফেন বা প্যারাসিটামলের মতো প্রয়োজনীয় পেনকিলার খান।
ছোটখাট পোড়া এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। অনেক দিন ব্যথা, লাল হয়ে থাকা, জ্বর, ফোলা রয়ে গেলে বুঝবেন ইনফেকশন ছড়িয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে চিকিত্সকের কাছে যান।
কী করবেন না?
যতই জ্বালা করুক পোড়া ক্ষতে বরফ লাগাবেন না এতে ত্বকের আরও ক্ষতি হবে। ফোস্কা পড়লে ফাটাবেন না ফোস্কা ত্বককে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। যদি ফোস্কা ফেটে যায় তাহলে ক্ষত হালকা সাবান জলে ধুয়ে নিয়ে অ্যান্টি বায়োটিক মলম লাগিয়ে গজ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখুন। ৪৮ ঘণ্টা অন্তর ড্রেসিং করুন। পোড়া ক্ষতে বার্নল বা টুথপেস্ট লাগাবেন না। এতে পোড়া ত্বকে হাওয়া চলাচল করতে পারবে না।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.