গ্রামীণফোন লিমিটেড ২০১৬ সালে ১১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৯.৬% বেশি ।
নতুন গ্রাহক এবং সেবা থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ১২% । ডাটা থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৬৯.৭%। ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে ১৬৭.৯% । ব্যবহৃত মিনিটের পরিমাণ বাড়ার ফলে ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৫.১%। চতুর্থ প্রান্তিকে নতুন গ্রাহক ও ট্রাফিক রাজস্ব ২০১৫ এর একই সময়ের তুলনায় ১২.২% বেড়েছে। গ্রামীণফোন ৫ কোটি ৮০ লক্ষ স্বক্রিয় গ্রাহক নিয়ে বছরটি শেষ করেছে যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২.২%।
গত বছর গ্রামীণফোনে যুক্ত হয়েছে ৮৮ লক্ষ ডাটা গ্রাহক। এর ফলে মোট গ্রাহকের ৪২.৩% ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। গ্রামীণফোনের সিইও পেটার ফারবার্গ বলেন, ‘২০১৬ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের জন্য একটি সার্বিক সাফল্যের বছর। ডাটা রাজস্বের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি ভয়েস খাতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই বছর আমরা সাফল্যের সাথে বায়োমেট্রিক যাচাই প্রক্রিয়া ও ৯০% সাইটে থ্রিজি পৌছে দিতে পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা এক বছর আগে স্থির করা প্রমাণিত কৌশলগত অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখবো এবং সম্মানিত শেয়ারেহাল্ডারদের জন্য মূল্য সংযোজন করবো।’ আয়কর প্রদানের পর ২০১৬ এ মুনাফা হয়েছে ২২৫০ কোটি টাকা যা ২০১৫ তে ছিল ১৯৭০ কোটি টাকা। উচ্চ রাজস্ব আয় এবং দক্ষ পরিচলন ব্যয়ের কারণে এবছর EBITDA (অন্যান্য আইটেমের আগে) হয়েছে ৫৫.৩% মার্জিন সহ ৬৩৮০ কোটি টাকা। এবছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১৬.৬৮ টাকা।
গ্রামীণফোন ২০১৬ এ তার থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্থাপন, টুজি নেটওয়ার্ক এর মানোন্নয়ন এবং আইটি অবকাঠামোর দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এদিকে দেশের বৃহত্তম কর দাতা গ্রামীণফোন ২০১৬ সালে সরকারি কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে ৫৮৬০ কোটি টাকা দিয়েছে যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৫১.০ শতাংশ।
৩১ জানুয়ারি ২০১৭ এ অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণফোন এর পরিচালকমণ্ডলী ২০১৬ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৯০ শতাংশ (প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারের জন্য ৯ টাকা) চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.