ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর ইরানের ব্যালিস্টিকের বিরুদ্ধে আগ্রাসী নীতি নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরান উস্কানি দিচ্ছে অভিযোগে তাদেরকে নজরদারিতে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।
ইরানকে আরও কিভাবে জবাব দেওয়া যায় তাও পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এতে করে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট কি কি পদক্ষেপ নিতে পারে তা স্পষ্ট বোঝা না গেলেও নতুন মার্কিন প্রশাসন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন।
ইরানে সামরিক হস্তক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। যদিও পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেছেন, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে সামরিক বাহিনী তার অবস্থান পরিবর্তন করেনি।”
ওদিকে, ইরানের প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘কম আক্রমণাত্মক অবস্থানের দিন এখন শেষ’ বলে আরও আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফ্লিন।
হোয়াইট হাউসের প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ না থেকে ইরান বরং এখন আরও সাহসী হয়ে উঠছে। আজ থেকে আমরা ইরানকে সরকারিভাবেই নজরদারিতে রাখছি।
”
ইরান বুধবার একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে এর মধ্য দিয়ে তারা পারমাণবিক চুক্তি ভঙ্গ করেনি বলেও দাবি করেছে।
গত রোববার ইরান মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এর জবাবে ইরানে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ আরও অনেক বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবে দেখা হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.