এই সেই ভার্জিন ট্রি। ডালে ঝুলছে কন্ডোম। ডান পাশে ‘দমদমী মা’ সানি লিওন
ভ্যালেন্টাইনস ডে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এই দিনটি তাঁরা প্রেমের দিবস বলে মনে করেন। কিন্তু সকলের প্রেমভাগ্য এতটা উজ্জ্বল হয় না। অনেকেই রয়েছেন যাঁদের ভ্যালেন্টাইনস ডে-টিও একা একা কেটে যায়। কিন্তু প্রেমহীনতায় ভোগা সেই সমস্ত মানুষজন জেনে বিস্মিত হবেন, এই দেশের মাটিতেই রয়েছে এমন একটি গাছ, যে গাছকে বিশেষ রীতি মেনে পুজো করলেই ছ’মাসের মধ্যে নাকি বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড জুটে যায়।
শুনে হয়তো বিশ্বাস হবে না যে, দিল্লিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজে এমন একটি বাবলা গাছ রয়েছে, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে যে গাছের নীচে সিঙ্গল ছেলে বা মেয়েরা পুজো করলে, ছ’মাসের মধ্যে তাঁদের প্রেমিক বা প্রেমিকা জুটে যায় বলে বিশ্বাস।
বিশ্ববিদ্যালের ছাত্রছাত্রীরা এই গাছকে ‘ভার্জিন ট্রি’ বলে ডাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই
গাছ অত্যন্ত জনপ্রিয়। ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এই গাছের নীচে সিঙ্গল যুবক-যুবতীরা প্রেমের প্রার্থনা মনে নিয়ে ভিড় করেন।
এই গাছটিকে কেন্দ্র করে কী ভাবে এমন বিশ্বাস গড়ে উঠল, তা ঠিক ভাবে বলতে পারছেন না এই গাছের অলৌকিক ক্ষমতার উপর আস্থাশীল ছাত্রছাত্রীরাও। কিন্তু অদেখা প্রেমিক বা প্রেমিকার দেখা পাওয়ার আশা বুকে নিয়ে তাঁরা এই ভার্জিন ট্রি-র নীচে সমবেত হতে ভোলেন না।
গাছটিকে সাজানো হয় বেলুন, কিংবা জলভর্তি কন্ডোম দিয়ে। গাছের নীচে দমদমী মায়ের মূর্তি গড়ে পুজো করা হয়। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দীপিকা পাড়ুকোনকে দমদমী মা হিসেবে পুজো করা হয়েছিল।
এ বছর কাকে মায়রে আসনে বসানো হবে, তা এখনও জানা যাচ্ছে না। কিন্তু দমদমী মা যে-ই হোন না কেন, প্রেমহীন ছা়ত্রছাত্রীদের একাংশের আশা, সেই মা-ই তাঁদের প্রেমের আশা পূরণ করবেন।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.