আর্জেন্টাইন বিখ্যাত পত্রিকা ক্লারিন শিরোনামটা যথার্থই দিয়েছে- শতাব্দীর সেরা বিয়ে। হ্যাঁ, শোবিজ থেকে ক্রীড়া জগত্- সাম্প্রতিক সময়ে অন্য কোনো বিয়ে নিয়ে এত মাতোয়ারা হয়নি বিশ্ব।
যেমনটি হয়েছে লিওনেল মেসি এবং আনতেনেল্লো রোকুজ্জোর বিয়ে নিয়ে। পাঁচ বছর বয়সে পরিচয়। মাধ্যম ছিলেন বাল্যবন্ধু লুকাস স্কাগলিয়া। বন্ধুর চাচাতো বোন সঙ্গে ‘খেলার সাথী’র সম্পর্কটাই এক সময়ে প্রণয়ে মোড় নেয়। এরপর তাদের কোল আলোকিত করে এসেছে ফুটফুটে থিয়াগো এবং মাতেও। জন্ম শহর রোজারিওতে। গত শুক্রবার স্থানী সময় ৭টায় মহাধুমধামে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েটাও সেরে নিলেন মেসি এবং রোকুজ্জো। আনন্দঘন অনুষ্ঠানে নবদম্পতি জুটি ছিলেন বেশ নির্ভার।
সুখী চেহারা নিয়ে রাজকীয়ভাবে লালগালিচার ওপর হেঁটে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হন তারা। সিটি সেন্টার কমপ্লেক্সে আয়োজিত বিয়ের এই অনুষ্ঠানে এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন পপ তারকা সাকিরা ও তার স্বামী মেসির সতীর্থ জেরার্ড পিকে, বার্সেলোনা স্ট্রাইকার নেইমার ও লুইস সুয়ারেজ, সাবেক বার্সা তারকা সেক্স ফ্যাব্রেগাস, ম্যানচেস্টার সিটির তারকা সার্জিও অ্যাগুয়েরোসহ প্রায় দেড়শ সাংবাদিক। রোকুজ্জোর পরনে ছিল স্প্যানিশ ডিজাইনার রোজা ক্লারার ডিজাইনে তৈরি মারমেইড ডিজাইনের গাউন। মেসির পরনে ছিল সাদা শার্টের ওপর স্যুট-প্যান্ট ।
২৬০ জন আমন্ত্রিত অতিথির সামনে পাত্র-পাত্রীর আসনে মেসি-রোকুজ্জোর সঙ্গে ছিলেন তাদের দুই সন্তান থিয়াগো (৪) ও মাতেও (১)। সেই ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় পাড়ি জমালেও কখনো রোকুজ্জোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি মেসির। যদিও প্রণয়ের ব্যাপারটা গোপন ছিল অনেক দিন। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে একটি সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই প্রথম গোমর ফাঁস করেন। এরপর থিয়াগো থেকে মাতেওর জন্ম। সবকিছুই হয়েছে মহাধুমধামে। ২০১২ সালের ২ জুন ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসির বল জার্সির নিচে নিয়ে থিয়াগোর আগামনীবার্তা দেয়া সেই উদযাপন এখনো চোখে ভাসার কথা ফুটবল প্রেমীদের। রোকুজ্জোর মতো জন্মশহর রোজারিওর প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অটুট। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাল্যসাথী’কে ঘরে তুলে নিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.