ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে শ্রীশ্রী যশোমাধবের উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ধামরাইয়ের গোপনগর মাধবমন্দির থেকে কায়েতপাড়া মন্দির আঙিনায় রথ টানা শুরু হয়। এর আগে বিপুলসংখ্যক র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন।
তাঁরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করে ভক্তসহ অন্যদের উৎসব আঙিনায় ঢুকতে দেন। উল্টো রথযাত্রা আনুষ্ঠানিকতার আগে স্থানীয় সাংসদ, আওয়ামী লীগ নেতা, মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতারা বক্তব্য দেন। মেলা বন্ধের ষড়যন্ত্র এবং রথযাত্রা উৎসব পণ্ড করার জন্য পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় মেয়রকে দোষারোপ করেন সাংসদ এম এ মালেক।
পুলিশের ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, এটা কোনো ষড়যন্ত্র নয়। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে উল্টো রথযাত্রার আগে দুই দিনের জন্য দোকানপাট তুলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। স্থানীয় মেয়র গোলাম কবির বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলা দুই দিনের জন্য বন্ধ করার কথা বলা হয়।
প্রশাসনের সঙ্গে একমত হয়ে সহযোগিতা করতে হয়েছে। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পুলিশ গতকাল রোববার থেকে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি রথযাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত মেলার দোকানপাট, সার্কাস ও পুতুলনাচ বন্ধ করে দেয়। এর পরপরই যশোমাধব মন্দির ও রথযাত্রা উৎসব পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন। বৈঠক থেকে উল্টো রথযাত্রা উৎসব বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত স্থানীয় সাংসদ, প্রশাসন ও রথযাত্রা পরিচালনা পরিষদের বৈঠকের পর উল্টো রথযাত্রার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ২৫ জুন ধামরাইয়ে রথযাত্রা উৎসব হয়। ওই দিন কায়েতপাড়া মন্দির থেকে যশোমাধবকে রথে করে ধামরাই পৌর এলাকার গোপনগরের মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আজ উল্টো রথযাত্রা উৎসবের মধ্য দিয়ে মাধবকে কায়েতপাড়া মন্দিরে আনা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.