নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী ইয়াংগুন


বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে ফেলতে মিয়ানমারের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন।
গতকাল রোববার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি জোর দিয়েছেন।

 আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তিন দিনের সফরের প্রথম দিনে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক করেন। এ ছাড়া তিনি আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

আগামীকাল মঙ্গলবার সফরের শেষ দিনে তাঁর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা উল্লেখ করেছেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর দেশের সরকার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী। দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিরক্ষা ও সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তাদের আলোচনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। থং তুন মনে করেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হলে রাখাইন রাজ্যের প্রধান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা কমাবে, যা চূড়ান্তভাবে সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে।

আস্থা ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করেন মাহমুদ আলী। এ ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বাইরের কোনো পক্ষের তৎপরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা এবং এ দেশের ভূখণ্ডকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে না দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা জানান। মাহমুদ আলী সীমান্ত এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিতে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু করাটা যে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি স্বীকার করেছেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন। অতীতে মিয়ানমারের শরণার্থীদের রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কীভাবে কাজ করেছিল, বৈঠকে সে প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁরা দুজনই পরস্পরের মধ্যে আস্থা বাড়াতে এবং মতপার্থক্য দূর করতে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
Share on Google Plus

About Admin

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.