কার্ডে প্রকাশ পাওয়া তথ্যগুলি অভিনেতা সলমন খান ৫১ বছর নয়, সলমনের আসল বয়স অন্য। আপামর ভক্তদের কাছে নিজের প্রকৃত বয়স গোপন করলেও, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক তথ্যই দিয়েছিলেন অভিনেতা।
সলমন
প্রতি বছর বলিউড স্টার সলমন খানের জন্মদিন পালিত হয় ২৭ ডিসেম্বর। দেশে এবং বিদেশে সলমন ভক্তদের কাছেও এটি আনন্দের দিন। সেই মতো ২০১৬-র ২৭ ডিসেম্বরও পালিত হয়েছে সলমনের জন্মদিন। জানা ছিল, ১৯৬৫ সালে তাঁর জন্ম।
সেই মতো ২০১৬ সালে তাঁর ৫১তম জন্মদিন পালিত হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি ভোটার কার্ডের খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যেটি সলমন খানের প্রকৃত বয়স সম্পর্কে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।
মূল ঘটনা হায়দরাবাদের পুরানা শহর এলাকার।
কিছু দিন আগে এখানে আয়োজন হয়েছিল একটি পুরভোটের। সেই ভোটেই একটি ভোটদান কেন্দ্রে এক ব্যক্তি এক বিচিত্র ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে হাজির হন। ভোটার কার্ডে নামের জায়গায় লেখা ছিল সলমন খান, এবং ছবির জায়গায় ছিল অভিনেতা সলমন খানের ছবি।
ভোটারের বাবার নাম হিসেবে লেখা ছিল সেলিম খানের নাম, যিনি আসলে অভিনেতা সলমনের বাবা। সেই কার্ডেই দেখা যায়, সলমনের বয়স লেখা রয়েছে ৬৪ বছর।
বলা বাহুল্য, এই কার্ড নিয়ে যিনি ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন, তিনি আদৌ অভিনেতা সলমন খান নন।
এমনকী তাঁর নামও সলমন নয়। তা হলে এমন অদ্ভুত একটি ভোটার কার্ড তাঁর কাছে এল কী করে? এই বিষয়ে ভোটকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে চেপে ধরতেই তিনি জানান, তিনি দরিদ্র, এবং লেখাপড়া জানেন সামান্যই। তিনি ভোটার কার্ড পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, এবং ছবি তুলিয়েছিলেন।
কিছু দিন পরে ভোটাধিকারিকরা এই কার্ডটিই তাঁর হাতে তুলে দেন। কার্ডে নিজের ছবি দেখতে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তাঁরা নাকি বলেন, এই কার্ড নিয়ে ভোট দিতে তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না।
তিনি কার্ডটি নিয়ে বাড়ি চলে আসেন।
ওই ব্যক্তির কথাবার্তা শুনে তাঁকে নিরপরাধ বলেই মনে হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীদের। তাঁরা তাঁকে ছেড়ে দেন। অবশ্য তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। যদিও ভোটার তালিকার নির্দিষ্ট জায়গাতেও অভিনেতা সলমনের ছবিসহ নামই ছাপা রয়েছে বলে জানান ভোটকর্মীরা। ওই ব্যক্তি যদি নিরপরাধ হন, তা হলে পরোক্ষে এটাই ধরে নিতে হয় যে, ভোটার কার্ড ইস্যু করার সময়েই কোনও গোলমাল হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপরেই সে ক্ষেত্রে দায় বর্তায়।
ভোটকর্মীরা বলছেন, কোনও ভাবে ভুলবশত সলমনের নাম, পিতৃপরিচয় এবং ছবি ওই ব্যক্তির ভোটার কার্ডে চলে এসেছে। আর পুরানা শহরের বাসিন্দারা বলছেন, তাঁদের ভোটার কার্ডে এমন ভুল আকছার ঘটছে।
পুরানা শহরের এক বাসিন্দা সৈয়দ হায়দার এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে বহু লোকের এখনও ভোটার আইকার্ড-ই নেই। আবেদন করেও তাঁরা কার্ড পাননি। অনেকের নাম আবার বিনা নোটিশেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।’
ভোটার তালিকার সেই নথি
এই বিচিত্র ভোটার কার্ডটি সম্পর্কে সলমনের মন্তব্য অবশ্য মেলেনি। কিন্তু এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, কার্ডে প্রকাশ পাওয়া তথ্যগুলি অভিনেতা সলমন খান সংক্রান্তই।
আপামর ভক্তদের কাছে নিজের প্রকৃত বয়স গোপন করলেও, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক তথ্যই দিয়েছিলেন অভিনেতা। সেই তথ্যই কোনও ভাবে অন্য এক ভোটারের পরিচয়পত্রে ছাপা হয়ে গিয়েছে, এমন দাবিও করছেন কেউ কেউ। যদিও সেই দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.