কিভাবে সোনমের স্তন টিপা হয়েছিলো ! ( নিজের যৌন লাঞ্ছনা সম্পর্কে মুখর সোনম ) ।


"আমি জানি, আরও অনেককেই তাদের শৈশবে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়।


বিষয়টা যে তাদের মনে কতখানি গভীর ছাপ রেখে যায়, তা আমি বুঝতে পারি, কারণ আমারও সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে।" সোনম কপূর সমীক্ষা বলে, ভারতে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষকে তাদের শৈশবে কখনও না কখনও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়।

যদিও অধিকাংশ ঘটনাই কোনও দিন পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয় না। বিভিন্ন বলিউড অভিনেত্রীর স্বীকারোক্তি বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছে যে, তাঁরাও অনেক সময়ে তাঁদের শৈশবে যৌন নিগ্রহের সম্মুখীন হয়েছেন।

সাম্প্রতিক কালে নিজের শৈশবের এক অপ্রীতিকর ঘটনার কথা সম্পর্কে সরব হয়েছেন নায়িকা সোনম কপূর। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনম জানিয়েছেন, কী ভাবে ছোটবেলায় যৌন লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন তিনি।

অনিল কপূরের কন্যা সেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, তখন তিনি ১৩-১৪ বছরের নাবালিকা।

"আমার মনে আছে, বন্ধুরা মিলে গেইটি গ্যালাক্সি থিয়েটারে অক্ষয় কুমার আর রবিনা ট্যান্ডন অভিনীত একটা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের গ্রুপে আমরা সবাই ছিলাম মেয়ে। আমাদের বন্ধু একতার জন্মদিন ছিল সে দিন।

আমার খুব স্পষ্ট মনে আছে দিনটা। হল থেকে বেরিয়ে আমরা সবাই মিলে সিঙাড়া কিনতে যাচ্ছিলাম। আমরা মেয়ে-বন্ধুরা যখন এক সঙ্গে রাস্তায় হাঁটতাম, তখন একে অন্যের কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটতাম। আর এই সব সময়ে আমি থাকতাম একেবারে ধারে, কারণ আমিই ছিলাম বন্ধুদের মধ্যে সব চেয়ে লম্বা।
আমার মনে আছে, আমরা তখন রাস্তা পেরোচ্ছি। হঠাৎ একটা লোক পেছন থেকে এসে আমার বুকটা চেপে ধরল। আমার সেই বয়সে


গঠিতই হয়নি। ভয়ের চোটে আমার সারা দেহ কাঁপতে শুরু করেছিল। আমি বুঝতেই পারছিলাম না, কী হয়ে চলেছে আমার সঙ্গে, আমি কাঁদতে শুরু করলাম। আমি কাউকে কিচ্ছু বলিনি বিষয়টা সম্পর্কে।

চুপচাপ এসে বাকি সিনেমাটা সবার সঙ্গে বসে দেখেছিলাম;" জানিয়েছেন সোনম। সোনম আরও বলেছেন, "আমি জানি, আরও অনেককেই তাদের শৈশবে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। বিষয়টা যে তাদের মনে কতখানি গভীর ছাপ রেখে যায়, তা আমি বুঝতে পারি, কারণ আমারও সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে।

" সোনম জানিয়েছেন, এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দু'-তিন বছর এই বিষয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু এখন আর তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি সরব হয়েছেন শৈশবের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। তাঁর এই সরবতা যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া অন্য মানুষদেরও হয়তো নিজেদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অপরাধ নিয়ে মুখর হওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবে।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.