সিদ্ধিরগঞ্জে আউলাবন এলাকাস্থ রংধনু সিনেমা হলের আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। এরপর অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১২ যুবক-যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ দুপুরে আটককৃত যুবক-যুবতীদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার প্রতিজেলা প্রশাসনের তৎপরতায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেশাদার পতিতারা এ সিনেমা হলেই বেশি যুকছে।
এখানে সিনেমার দর্শকের চেয়ে নারী নিয়ে ফুর্তি এবং মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান হওয়ায় যুব সমাজ এখানে বেশি ভিড় জমায়। এ হলটির আশে পাশে কয়েকটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় এসব এলাকার অভিভাবকরা তাদের উঠতি বয়সী ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে।
এ ঘৃণ্য কাজের সাথে জড়িত হলটির মালিক জনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও হলটি বন্ধ করে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন এ সিনেমা হলটির মালিক জনি প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা, স্থানীয় মাস্তান ও বিশেষ পেশার ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ছবি প্রদর্শনের অন্তরালে পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে আমরা জানতে পারি যে, রংধনু সিনেমা হলে অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছিল। এসময় অভিযান চালিয়ে পাপিয়া (৩০), তানজিলা (১৮), হালিমা (২১), পাখি (১৮), সোনিয়া আক্তার (৩০), বিলকিস (৩০), শাকিল হোসেন (২৯) রনি (২২), আরাফাত (১৯), জাকির হোসেন (২৫), অহিদুল (২০) ও রুবেলকে (১৮) আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এই সিনেমা হলটিতে দীর্ঘদিন ধরে পতিতা দিয়ে দেহব্যবসা করা হচ্ছে এমন অভিযোগ ছিলো। অভিযান চলার সময় সিনেমার মালিক জনি পালিয়ে যায়।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.