মায়ের অবৈধ সম্পর্ক দেখে নেওয়াতেই কি খুন হতে হয়েছে মাত্র ৯ বছরের কিশোরী সামিনুর খাতুনকে? তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে এমনই প্রশ্ন পুলিশের। শুক্রবার মৃত নাবালিকার মা ও এক প্রতিবেশীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল পুলিশ।
নাবালিকার মায়ের সঙ্গে ওই প্রতিবেশী যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। নাবালিকা মেয়ের মুখ বন্ধ করতেই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখতে ওই দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে ভারতের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে।
ভারতের মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভৈরবপুর গ্রামে বুধবার ঘটে এই ঘটনা। জ্বালানি কুড়োতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকা। বৃহস্পতিবার সকালে কানখোল নদীর ধার থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার বাঁ চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল। পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। গলায় কালশিটে দাগও ছিল। শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ পুলিশের।
চাঁচোলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘এখনও তদন্ত চলছে। সবদিকে খেয়াল রেখেই পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।’ এই ঘটনার জেরে এলাকাজুড়েই শোকের পাশাপাশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কারা কি উদ্দেশে ওই নাবালিকাকে খুন করতে পারে তা নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি বাসিন্দাদের মধ্যেও ধন্দ তৈরি হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়েকে খুনের ঘটনায় মা জড়িত কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অঙ্গ পাচারকারীদের দিকে নজর ঘোরাতেই খুনের পর তার চোখ উপড়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, তদন্তে নেমে নাবালিকার মায়ের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। তারপরই পাড়া-পড়শিদের কাছ থেকে প্রতিবেশী ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি জানা যায়। বিবাহিত ওই যুবক এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.