জেএমবির শুরা সদস্য, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান ও ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল আবু সাঈদ ওরফে করিম ওরফে তালহা শেখ ওরফে শ্যামলকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা ইউনিট যৌথ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গতকাল বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের এসআই ফিরোজ বাদী হয়ে সাঈদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছেন। এই মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠালে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু রায়হান ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অভিযানকালে সাঈদের কাছ থেকে একটি নাইনএমএম পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ৮ রাউন্ড গুলি, ১টি চাকু ও একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেফতার হওয়া সাঈদ ওরফে শ্যামল ২০০৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জেএমবি সদস্য ইয়াদুলের মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করেন।
সে ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ২০১৪ সালের বোমা বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম আসামি। ওই ঘটনার পর তাকে গ্রেফতার করতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে প্রচারপত্র বিলি করে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। কে এই সাঈদ: শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশের সভাকক্ষে বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাঈদ কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চরচাঁদপুর গ্রামের শহিদুলাহ শেখের ছেলে। সে ২০০২ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। এরপর ২০০৪ সালে রাজশাহীর বাগমারায় শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে সর্বহারা নিধনে অংশ নেয়।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে বোমা হামলার দিন সে নওগাঁয় বোমা হামলায় অংশ নেয়। ওই মামলায় নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। রায় ঘোষণার আগেই সে পলাতক ছিল।
২০০৭ সালে সে ভারতে পালিয়ে যায় এবং ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদের মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করে।
২০১০ সালে ভারতের নদীয়া জেলায় জেএমবির দায়িত্বশীল হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে।
২০১২ সালে নদীয়া জেলার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম ও বর্ধমান জেলারও দায়িত্ব পায়।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ঐ বোমা হামলার পর এনআইএ তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ রাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। ফলে সে দেশে ফিরে আসে এবং নব্য জেএমবিতে যোগ দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়। বিবিসি বাংলা জানায়, গ্রেফতার সাঈদ
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণ মামলার ৩নং আসামি। বর্ধমানে সে শ্যামল নামে পরিচিত ছিল। ওই হামলায় ২ জন মারা যায়। ওই বোমা হামলার পর বাংলাদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে ভারতীয় পুলিশ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ওই বছরের ৯ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের ভার নেয় এনআইএ। পরে এ ব্যাপারে তদন্তে তারা বাংলাদেশেও আসে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.