ছোট ছেলে শরাফুল হকের কবরেই চিরনিদ্রায় গেলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। আজ শনিবার বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আর্মি স্টেডিয়ামে তার জানাজার আগে প্রিয় ব্যক্তিটিকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন হাজারো মানুষ। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নেমেছিল স্টেডিয়াম এলাকায়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে বাংলাদেশে পাঠানো হয় তার মরদেহ। দুপুর ১টার কিছু পরে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেসে করে মরদেহ বনানীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে (লন্ডনের স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিট) লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আনিসুল হক। চিকিৎসকরা তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র (ভেন্টিলেশন যন্ত্র) খুলে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ সময় তার স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হকসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন সফরে গিয়ে গত ৪ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়েন আনিসুল হক। ভর্তি হন স্থানীয় ওয়েলিংটন হাসপাতালে। মস্তিস্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস-এ’ আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা উত্তরের এই নগরপিতার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। আনিসুল হক ও রুবানা হক দম্পতির ছোট ছেলে শারাফুল হক ২০০২ সালে ৬ বছর বয়সে মারা যান। সেই কবরেই দাফন করা হয় বাবা আনিসুলকে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.