রাজধানী ঢাকায় চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ অনেকখানি কমে এসেছে। পূর্বের মতো মহামারি আকারে না ছড়ালেও এখনও কেউ কেউ চিকুনগুনিয়ার শিকার হচ্ছেন।
এদিকে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস নিজেকে বদল করে নিচ্ছে বলে মতামত জানিয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
রাজধানীর খ্যাতনামা একটি হাসপাতালের একজন ফিজিওথেরাপিস্ট জানান, চিকুনগুনিয়ায় প্রথম দিকে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের হাঁটু ও পায়ের গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যথা হতো। একইসাথে হাতের কব্জি এবং আঙুলের গোড়ায়ও ব্যথা করেছে।
মাঝামাঝি সময়ে এসে যাদের চিকুনগুনিয়া হয় তাদের অনেকেরই ব্যথা হওয়ার স্থান ফুলে যায়। হাঁটু, গোড়ালি, কব্জি ফুলে গিয়ে ব্যথা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।
তবে শেষের দিকে এসে চিকুনগুনিয়ার ধরণ বদলে যেতে থাকে। এখন যাদেরই চিকুনগুনিয়া হচ্ছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই বুকে ও কাঁধে ব্যথা হচ্ছে। বিষয়টি এখনও গবেষণায় প্রমাণিত নয় বলে এখনই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওই ফিজিওথেরাপিস্ট।
উল্লেখ্য, গত দুই মাসে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া তার ভয়ঙ্করদর্শন চেহারা প্রদর্শন করে গেছে। এই রোগে এখন পর্যন্ত কেউ মারা না গেলেও যারাই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই সহ্যের শেষ সীমা পর্যন্ত ব্যথা অনুভব করেছেন। আক্রান্ত অনেক ব্যক্তিই এখনও সেই রোগের ব্যথা বয়ে নিয়ে চলেছেন।
চিকুনগুনিয়ার মশা নিধনে বিতর্কিত মন্তব্য করে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য হন।
দুই সিটি কর্পোরেশনের মশা নিধন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গত মাসে দুই মেয়রের মশক নিধন কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মতো। কিন্তু চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় আবারও আগের পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। মশক নিধন কর্মকাণ্ড অব্যহত না রাখায় রাজধানীতে আবারও চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস দেখা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.