রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে তাজিয়া মিছিল। রবিরার সকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে পুলিশ পাহারায় মিছিলটি ঝিগাতলায় গিয়ে শেষ হয়।
জানা গেছে, তাজিয়া মিছিল প্রতিবারের মতো এবারও শত শত মানুষ অংশ নেন। মিছিলে অংশ নেয়া সবার মূখে হায় হোসেন-হায় হোসেন ধ্বনি উচ্চারিত হতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২ টায় মিছিলটি সায়েন্সল্যাব, রাইফেলস স্কয়ার হয়ে ধানমন্ডি লেকে প্রবেশ করে। এখানে মিছিলে অংশগ্রহনকারীরা কিছুক্ষণ অবস্থান করে।
এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, পল্টন ও মগবাজার থেকেও তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে বলে জানা গেছে। মিছিলের আগে-পিছনে আইন-শৃঙ্খলাবাহীর সদস্যদের দেখা গেছে। এমনকি মিছিলের মধ্যকানেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থা করেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ধেকে মিছিলে অংশগ্রহনকারীরা প্রশংসাও করেছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানান, মিছিলের জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
এখন পর্যন্ত তাজিয়া মিছিলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, মিছিলে সব ধরনের ধাতব ও দাহ্য পদার্থ, জিঞ্জির, দা-ছুরি-তলোয়ার, ঢোল-লাঠি খেলা, ব্যাগ, পোঁটলা, আগুন খেলা ও আতশবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাজিয়া মিছিলের শুরুতে অংশ নিতে হবে। শুরুর পর কেউ মিছিলে অংশ নিতে পারবে না।
হোসনি দালান, বিবিকা রওজাসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইমামবাড়ায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ডিএমপি প্রধান বলেন, দুই বছর আগে ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর তাজিয়া মিছিলে প্রস্তুতির সময় হোসনি দালানে হামলার ঘটনা ঘটে। তাই এবার তাজিয়া মিছিলসহ আশুরার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রস্তুত থাকবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স। আশুরা উদ্যাপন ও তাজিয়া মিছিলের পুরো দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হবে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.