মেজর নাজিমকে ৭ ডিবি আটকের নায়ক নিয়ে ফেসবুকে কে কি লিখল



এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে আটকের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন মেজর নাজিম আহমেদ।


বিভিন্ন মহলে এবং সোশাল মিডিয়ায় তার এই দায়িত্বশীলতায় বাহবা দেওয়া হচ্ছে। ফেসবুকজুড়ে তার ছবিসহ পোস্ট দিচ্ছেন মানুষ। বুধবার ভোর ৪টার দিকে ডিবির ৭ সদস্যকে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শাপলাপুর এলাকা থেকে মেজর নাজিমের নেতৃত্বে আটক করেন সেনা সদস্যরা। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) দুই এসআই, তিন এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

টেকনাফের সাবরাং ত্রাণকেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন মেজর নাজিম আহমেদ। রাশেদ খান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে জাতীয় বীর বলতে আমরা বুঝি ক্রিকেট খেলোয়াড়। তাই ক্রিকেট দলের কোনো খেলোড়ার যদি ভালো খেলে, তখন সেই প্লেয়ার হয়ে যায় জাতীয় বীর। দল-মতের উর্ধে উঠে সেই প্লেয়ারকে নিয়ে শুরু হয় উন্মাদনা। 

অনেকদিন ধরে একজন সাচ্চা জাতীয় বীর খুঁজছিল এই দেশের মানুষ। যিনি সাহস করে সমাজের চরম বিশৃঙ্খলাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন। যিনি সমাজের অচল অবস্থাকে চোখ রাঙানি দেবেন। আজকে দেশে চা দোকানদার থেকে শুরু করে করপোরেট অফিসের উঁচু তলার বড় কর্তা পর্যন্ত গর্বের সাথে বলছে। 

আমাদের দেশে একজন মেজর নাজিম আহমেদ আছেন। যিনি দেয়ালচিত্রের সেই সুবোধের প্রতিচ্ছবি, যিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে বলতে পারেন। সুবোধ পালিয়ে যায়নি, সুবোধ ফিরে এসেছে। কদরুদ্দিন শিশির নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, যদি ৬৪ জেলায় একরাতের জন্য সেনা টহল বসানো হতো, তা‌ইলে কত্ত ইলিশ যে ধরা পড়ত! আল আমিন নামে আরেকজন লিখেছেন, একজন মেজর নাজিম আহমেদের অভাবে প্রসাশনের এ রকম হাজার হাজার ক্রাইম ধামাচাপা পড়ে যায়। 

জেরিন খানের ভাষ্য হলো, জাতির গর্বিত সৈনিক মেজর নাজিম স্যার এর সর্বক্ষণ খোঁজ-খবর রাখা তার পরিবার এবং জাতির দায়িত্ব। যেকোনো সময় সরকার ক্যান্সারের রোগী বানিয়ে দিয়ে বিদেশে সাপ্লাই দিতে পারে। মেজর নাজিম স্যারদের মতো সেনাবাহিনী আছে বলেই জাতি আজো আশা হারায়নি। স্যালুট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। 

 ওই ঘটনার পর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলেও জানিয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা। ‘উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে’, জানিয়েছিলেন মেজর নাজিম।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.