গাজীপুরে ড্রাম থেকে এক স্কুল শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের (৫৪) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যা করা হয় নার্গিস আক্তারকে।
শনিবার গাজীপুর জেষ্ঠ্য জুডিশিয়াল আদালতে গ্রেফতার ওই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ভাড়াটে খুনী দিয়ে হত্যার পর লাশ ড্রামে ভরে ফেলে দেয়া হয়। গ্রেফতার জালাল উদ্দিন ডালি ওরফে জসিম (৩৫), ময়মনসিংহের গফুরগাঁও উপজেলার ভাঙ্গালকান্দি গ্রামের মৃত সামছুদ্দিন ডালির ছেলে।
গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর ঈদের দিন সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া পেয়ারা বাগানের কাছে ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে কাওরান বাজার আড়তের গেইটের সামনে থেকে স্কুল শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের (৫৪) লাশ ভরা ড্রাম উদ্ধার করা হয়।
তখন তার ছেলে নাজিউর রহমান বাবু (২৪) তার মায়ের লাশটি সনাক্ত করেন। নিহত নার্গিস নরসিংদীতে একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করতেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরদিন তার ভাই আহমেদ হোসেন মানিক বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ গোপন সাংবাদে খবর পেয়ে গত শুক্রবার অভিযান চালায়।
অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কেতারভিটা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আসামি জালাল উদ্দিন ডালিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর শনিবার বিকালে তাকে গাজীপুর জেষ্ঠ্য জুডিশিয়াল আদালতের হাজির করা হয়। ওই আদালতের বিচারক তাহমিনা খানমের কাছে স্কুল শিক্ষিকা হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দেন।
তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো ৫-৬ জন আসামি জড়িত। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, ঢাকা থেকে স্কুল শিক্ষিকাকে গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে ৩১ আগস্ট খুন করে ঘাতকরা। পরে পাশের বাজার থেকে ড্রাম কিনে নিয়ে তাতে তার লাশ ভরে ভোগড়া বাইপাস সড়কের পাশে ফেলে দেয় খুনিরা।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট দিনের বেলায় স্কুল শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। হত্যার পর লাশটি একটি ড্রামে ভরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পেয়ারাবাগান এলাকায় ফেলে পালিয়ে যায়। ২ সেপ্টেম্বর ঈদের দিন দুপুরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ড্রামে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.