শ্যালিকাকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে : ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার


নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার কাজীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুরাদ মিয়া (৩২) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুরাদের শ্যালিকা বাদী হয়ে বন্দর থানায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে বন্দর উপজেলার বজলুর রহমানের ছেলে মুরাদের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মুরাদ তাঁর শ্যালিকাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

পারিবারিক কলহের কারণে মুরাদের স্ত্রী এক মাস আগে পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। গত ২৬ মে মুরাদ তাঁর শ্যালিকাকে মুঠোফোনে ফোন করে ছেলের জন্য কেনা ঈদের জামাকাপড় নিয়ে যেতে তাঁকে আসতে বলেন। ভগ্নিপতির কথায় শ্যালিকা বন্দর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এলে মুরাদ বন্দর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।

ওই ঘটনার পর শ্যালিকাকে দুই দিন একটি ঘরে আটকে রাখেন মুরাদ। ২৮ মে মুরাদ ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করেন। পরে ১৫ জুন শ্যালিকা কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং বিষয়টি তাঁর মা-বাবাকে জানান। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে বন্দর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কালাম বলেন, ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন। তাঁর ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.