বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণকারী সাফাতের বাবার মালীকানাধীন আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হিরা আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিলো শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্মপরিচালক শাফিউর রহমানের নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে জব্দকৃত স্বর্ণ হস্তান্তর করেন। স্বর্ণ গ্রহণ করেন কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খুরশীদ ওয়াহাব। এর আগে আজ সকাল ৯টা থেকে আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শো-রুমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে স্বর্ণ জব্দের কার্যক্রম শুরু হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, এর আগে এই পাঁচটি শো-রুমে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালায়। তখন এই সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ ও স্বর্ণের অলংকার এবং ৪২৭ গ্রাম হিরার বৈধ কাগজপত্র চাইলে মালিকেরা তা দেখাতে পারেননি। এগুলোর মূল্য প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকা। এরপর আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাইকে কাকরাইলে কার্যালয়ে তলব করা হয়।
দুই দফায় তারা সশরীরে হাজির হন তবে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সর্বশেষ তারা ৩০ মে অধিদপ্তরে যে কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন তাও বৈধ নয়। এ কারণে এই পাঁচটি শো-রুমের স্বর্ণালংকার জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আজ বিকেলে জব্দকৃত স্বর্ণ ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা দফতর জানায়, আপন জুয়েলার্সের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন গ্রাহককে দুই দশমিক তিন কেজি স্বর্ণালংকার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়া হয়েছে, যা ওই সব গ্রাহক অলংকার তৈরি ও মেরামতের জন্য দিয়েছিলেন। বাকি স্বর্ণের বিষয়ে আপন জুয়েলার্স কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.