সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষ বিশ্বাস করে আসছে, রতিকৌশলের সঙ্গে সঙ্গমে আনন্দলাভের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ রয়েছে। প্রাচীন কামসাহিত্যে তো বটেই, আধুনিক যৌনবিজ্ঞানের বইগুলোতে পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে রীতিমত আলোচনা করা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, সঙ্গমে নারী থাকে নিষ্ক্রিয়—কাজেই তাঁকে উদ্দীপিত এবং তৃপ্ত করার কৌশলগুলো পুরুষকেই খুঁজে বের করতে হবে। সেজন্য দেহমিলনকালে একদিকে যেমন নারীদেহে বিবিধ শৃঙ্গার প্রয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়ছে, ঠিক তেমনি বহুকাল যাবত সাধারণ মানুষ করে এসেছে, মিলনের সময় বুদ্ধি দ্বারা নারীকে চরমানন্দ দান করা সম্ভব। এইভাবে সে বিশ্বাস করেছে, লিঙ্গ যত বৃহদাকৃতির হবে, নারী তত বেশি তৃপ্তি পাবে।
এগুলির বিশদ আলোচনাই হবে এই প্রবন্ধের লক্ষ্য। সঙ্গম নয়, শৃঙ্গারের প্রতি কোন কোন নারীর অস্বাভাবিক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। বাস্তবিকপক্ষে, কেবল শৃঙ্গার প্রয়োগের দ্বারাই এদের চরমানন্দ দান সম্ভব। সঙ্গমটা এদের কাছে গৌণ, মুখ্য হল শৃঙ্গার। নীচের এই চিঠিটা ব্যাপারটা বুঝতে সাহায্য করবেঃ আমার স্ত্রীর বয়স ৩১, এম. এ. পাশ। স্বাস্থ্য মোটামুটি খারাপ নয়। উচ্চতা ৫ ফুট। লক্ষ্য করলে বেশ বোঝা যায় যে, তাঁর কোমর থেকে নীচে অবধি যতটা পুষ্ট ও সুন্দর, উপরাংশ তেমন নয়। বিশেষ করে তাঁর স্তনদুটি অনুন্নত, হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়। তিনি ৩০ মাপের ব্রেসিয়ার পরিধান করেন। স্তনদুটি অনুন্নত হওয়ায় তাঁর মনে একটা আক্ষেপ আছে, আর আমারও ইচ্ছা হয় যদি কোনভাবে তাঁর স্তনদুটি উন্নত হয়! “আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর। কোন সন্তান এখনও হয়নি। একটা কথা, সতীচ্ছদ ছিন্ন করতে সময় লেগেছে প্রায় চার মাস ।
এখন অবশ্য কোন অসুবিধে হয় না। আমরা সাধারণত প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে নানা প্রকার শৃঙ্গারক্রিয়ার পর সঙ্গমে রত হই। সপ্তাহে ২/১ বারের বেশী সঙ্গম করি না।…তাছাড়া, স্ত্রী সঙ্গমের ব্যাপারে একেবারে আগ্রহশীলা নন, তবে তিনি অন্য ক্রিয়াগুলি খুব আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করেন, আর আমাকে দিয়ে বারবার করান, নিজেও করে থাকেন।” সন্দেহ নেই, কি নারী, কি পুরুষ উভয়েরই পুলকানুভুতি বহুলাংশে মানসিক গঠনভঙ্গীর উপরে নির্ভরশীল। ছেলেবেলা থেকে এক একজন গড়ে ওঠেন এক এক রকম পরিবেশে। বাল্যকালের এই পরিমন্ডলের প্রভাব পরবর্তী কালে পড়ে। প্রবন্ধটির প্রথমেই তাই উল্লেখ করে দেওয়া ভাল, কিভাবে একজন নারী চরমপুলক লাভ করবেন, সে বিষয়ে কোন নিয়ম বেঁধে দেওয়া মুসকিল। যে সব কৌশল অবলম্বন করলে অধিকাংশ নারীর রতিতৃপ্তিলাভ সহজসাধ্য হয়, সেগুলি নিয়েই আমরা এখন একে একে আলোচনা করব।
(ক) স্তনদ্বয়ে শৃঙ্গার প্রয়োগের দ্বারা। নারীর স্তন একদিকে যেমন তাঁর সন্তানের বাঁচার অপরিহার্য উপাদান,দুগ্ধক্ষরণের উতস,ঠিক তেমনি, তাঁর দেহ সৌন্দর্য বর্ধনেরও সহায়ক। পীনপয়োধরা নারী যে কোন পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণে তহা বিভ্রম ঘটাতে সক্ষম। অসংখ্য অনুভূতিপ্রবণ স্নায়ুপ্রান্ত এসে স্তনবৃন্তে মিশেছে। তাই এখানে শৃঙ্গার প্রয়োগের ফলে নারী সহজেই উত্তেজিতা হয়। এমন কি, কেবল মাত্র বক্ষপ্রচাপন বা বক্ষঘর্ষণের দ্বারাও নারীর পক্ষে যৌনতৃপ্তিলাভ সম্ভব বলে ডিকিনসন, গ্রাফেনবার্গ প্রভৃতি যৌনবিজ্ঞানীরা মন্তব্য করেছেন। বহু যুবতী এবং বালিকাকে ছাদে কিংবা বারান্দায় দাঁড়াবার সময়ে বুক চেপে দাঁড়াতে দেখা যায়। এতেও নারী একধরণের স্পর্শসুখ অনুভব করে। কিনসে সমীক্ষায়ও প্রকাশ পেয়েছে, সঙ্গমকালে বা সমকামাত্মক কার্যাদিতে অংশগ্রহণের সময় নারীরা বক্ষমর্দন তো পছন্দ করেই, এমন কি আত্মরতিকালেও অনেক নারী নিজেই নিজের স্তন মর্দন করে। কিনসের পরীক্ষিত নারীদের মধ্যে অন্তত শতকরা ১১ জন এভাবে চরমানন্দ উপভোগ করেছে। প্রাচীন ভারতীয় কামশাস্ত্রকাররা দেহমিলনকালে নারীর স্তনে চুম্বন, লেহন, নখাঘাত, দংশন ও মর্দন প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। বাৎস্যায়ন তাঁর ‘কামশাস্ত্রে’ স্তনদ্বয়ে একটি বিশেষ দশনচ্ছেদ্য এবং নখাঘাত প্রয়োগ করতে বলেছেন। নায়ক নায়িকার স্তনপৃষ্ঠ থেকে খানিকটা চামড়া দাঁতের মাঝখানে চেপে ধরে কিছু সময় চর্বণ করবে। তারপর সেই অংশটুকু ছেড়ে আরো খানিকটা অংশ অনুরূপভাবে চর্বণ করবে। এতে স্ত্রীর স্তনগাত্রে কয়েকটা দীর্ঘ অভগ্ন রেখা উৎপন্ন হবে। বরাহের মতো স্তনমাংস চর্বণ করা হয় বলে এর নাম বরাহচর্বিতক। এর ফলে দুদিকে পড়ে দাঁতের দাগ, আর মাঝখানটা হয়ে ওঠে লাল। বাৎস্যায়ন বলেছেন, কামোত্তেজনা চরম শিখরে উঠছে কিংবা দীর্ঘ প্রবাসযাত্রার প্রাক্কালে স্বামী স্মারকচিহ্ন হিসেবে স্ত্রীর স্তনপৃষ্ঠে এই দশনচ্ছেদ্য প্রয়োগ করবে। (সাম্প্রয়োগিকাধিকরণম পঞ্চম অধ্যায়, সপ্তদশ শ্লোক)। আবার নায়ক নায়িকার স্তনের উপরে পরস্পরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবশায় রাখবে। তারপর সেই ঘনবিন্যস্ত নকগুলোকে স্তনচূড়ার দিকে টেনে আনবে। এর ফলে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তা অনেকটা ময়ূরের পায়ের মতো দেখতে—তাই এর নাম ময়ূরপদক । (সাম্প্রয়োগিকাধিকরণম পঞ্চম অধ্যায় উনবিংশ শ্লোক)। স্তনদ্বয়ে শৃঙ্গার প্রয়োগের গলে সব নারীই উত্তেজিতা হয়ে পড়ে,এমন ধারণা কিন্তু ভুল। ব্যক্তিভেদে রুচিভেদে ঘটে—এ কথাটা এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে, কিনসের মতে, অন্তর শতকরা ৫০ জন নারী এতে উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। কারোর কারোর ক্ষেত্রে এই অনুভূতিপ্রবণতা এত বেশী যে, সামান্য স্পর্শেই তাঁর কামনা জেগে ওঠে। ‘Married Love’ গ্রন্থে শ্রীমতী মেরি ষ্টোপস একটি বিচিত্র ঘটনার উল্লেখ করেছেন। এক ভদ্রমহিলাকে তাঁর স্বামী ভীষণ ভালবাসতেন। প্রতিদিন বেরোবার সময় এবং বাড়িতে ফেরার সময় স্ত্রীকে চুম্বন দিতেন, অথচ তা সত্বেও মহিলাটি বিন্দুমাত্র উত্তেজনা অনুভব করতেন না। মহিলাটির স্বামী কেবল গাল ছাড়া অন্যত্র কোনদিন চুম্বন করেননি। একদিন হঠাৎ স্বামীর ওষ্ঠদ্বয় মহিলাটির স্তনে লাগতেই স্ত্রীর কামনা-নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হলো, সারা শরীরে তিনি অব্যক্ত এক পুলক পুলকানুভুতি অনুভব করলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বামীর মুখ নিজের স্তনে চেপে ধরেন, স্বামীও স্ত্রীর স্তনে চুম্বন করেন। জীবনে মহিলাটি সেই সর্বপ্রথম প্রকৃত যৌনানন্দ অনুভব করেন। এ ধরনের উদাহরণ আরও আছে। শ্রীআবুল হাসানাৎ-এর কাছে এক ডাক্তার বন্ধু লিখেছেনঃ রতিক্রিয়ার নারীর স্তনের উপযোগিতা সম্বন্ধে আপনি ডাঃ ভেলডির যে মত উদ্ধত করিয়াছেন তাহা অতীব সত্য। ভ্যান দি ভেলডি বলেছেনঃ । এ সম্বন্ধে দুইটি উদাহরণ দিতেছি। জনৈক নববিবাহিত যুবক তাহার স্ত্রী রতিশীতল বলিয়া আমার নিকটে দুঃখ প্রকাশ করিয়াছিল। বহুক্ষণ নানাপ্রকার শৃঙ্গার প্রয়োগেও সে তাহার স্ত্রীকে উত্তেজিত করিতে পারিত না এবং তাহার স্ত্রী রতিক্রিয়ার প্রায় কোনই আনন্দ পাইত না। প্রশ্ন করিয়া জানিতে পারি যে স্ত্রীর স্তনে সে কোনদিন মুখপ্রয়োগ করে নাই। আমার পরামর্শ মতো শৃঙ্গারকালে স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চুষিয়া সে আশ্চর্য ফল পাইয়াছিল। রতিক্রিয়ার পূর্বে ২/৩ মিনিট স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চুষিলেই তাহার স্ত্রী উত্তেজিতা ও আঙ্গিক মিলনের জন্য আগ্রহশীলা হইয়া পড়িত এবং প্রতি সঙ্গমে এক বা একাধিকবার স্ত্রীর চরমপুলক লাভ অত্যন্ত সহজ ব্যাপার হইত। আর এক ভদ্রলোকের কথা জানি, তাঁহার স্ত্রী তীব্র রতিবাসনাসম্পন্না ছিলেন কিন্তু তিনি নিজে রুগ্ন বলিয়া স্ত্রীর ইচ্ছামতো সহবাসে অসমর্থন ছিলেন। ইহাদের দাম্পত্য জীবনে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য আসিয়াছিল সেইদিন হইতে যেদিন তিনি আবিস্কার করিলেন যে রতিক্রিয়া ব্যতীতও শুধু স্তন চুম্বন করিয়া ও চুষিয়াই তাঁহার স্ত্রীকে চরমপুলক দান সম্ভবপর!” নারীর স্তনের অতিরিক্ত অনুভূতি প্রবণতা লক্ষ্য করেই বাৎস্যায়নের পূর্ববর্তী কামশাস্ত্রকার সুবর্ণনাভ এক বিশেষ ধরণের ‘একাঙ্গ আলিঙ্গনের’ কথা লিপিবদ্ধ করেছেন। “এরূপ আলিঙ্গনের পূর্বে নায়ক-নায়িকা মুখোমুখি বসে অথবা পাশাপাশি শয়ণ করে অথবা নায়ক চিৎ হইয়া শয়ন করে এবং নায়িকা তাঁহার বুকের উপর উঠে এবং নিজের দেহের সমস্ত ভার নায়কের দেহে রাখিয়া স্তনদ্বয় দ্বারা এমন জোরে চাপ দেয় যে তাহা নায়কের মর্মস্থলে পৌঁছায় এবং স্তনদ্বয়ের স্পর্শে পুলকানুভব করে।” (খ) ভেসটিবিউল ঘর্ষণের দ্বারা। ভেসটিবিউলের প্রকৃত অবস্থান হল ভগোষ্ঠদ্বয়ের ফাঁকের মধ্যে। এর উপরে রয়েছে ভগাস্কুর, দুপাশে ক্ষুদ্রদ্রোষ্ঠদ্বয় এবং নীচের দিকে থাকে যোনিমুখ। এর মাঝামাঝি জায়গাতে থাকে মূত্রছিত্রটি। নারীর ভেসটিবিউল অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ। কিনসে-গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, শতকরা প্রায় ৯৭ জন নারী এই অঞ্চলে স্পর্শ পেলে উত্তেজিতা হয়ে ওঠেন। এই সম্বন্ধে কিনসে প্রদত্ত তালিকাটি হলঃ স্পর্শিত স্থানের নাম. পরীক্ষিত নারীর শতকরা কতজন . সংখ্যা উদ্দীপিত হলেন ভেসটিবিউলের সামনের দিক ৬৫০ ৯২ ভেসটিবিউলের পিছনের দিক ৮৭৯ ৯৬ ভেসটিবিউলের দক্ষিণ অঞ্চলে ৮৭৯ ৯৮ ভেসটিবিউলের বাম অঞ্চলে ৮৭৯ ৯৮ উপরের তালিকা থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, দেহমিলনের পূর্বে ভেসটিবিউল অঞ্চলে শৃঙ্গার প্রয়োগের গুরুত্ব অসামান্য। এতে নারীর চরমপুলক লাভ অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য হয়ে পড়ে। ‘যৌনবিজ্ঞান’ প্রণেতা শ্রীআবুল হাসানৎ দুটি বাস্তব ঘটনার সাহায্যে এই অভিমতকে সমর্থন করেছেন।তিনি লিখেছেনঃ জনৈক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেন যে, পূর্বরাত্রে একবার বাহির করার (বা হওয়ার) পর পুনরায় প্রবেশের সময় ভ্রমক্রমে দৈবাৎ যথাস্থানের উপরের দিকে যাওয়াতে তাঁহার স্ত্রী বলেন যে, উহার ফলে তাঁহার পূর্ববার অপেক্ষা তীব্র সুখানুভূতি হয়। তাঁহার স্ত্রীর সহিতও আমার এই সমস্ত বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলার মতো সুযোগ হইয়াছিল।তখন কেবলমাত্র ভগাস্কুরেই তীব্র অনুভূতিপ্রবণতার কথা জানা ছিল, তাই আমি ও আমার বন্ধু ভাবিয়াছিলাম যে, উহাই শিশ্নাগ্র দ্বারা ঘর্ষিত হওয়াতেই ঐরূপ সুফললাভ হইয়াছিল। পূর্বোক্ত আলোচনা হইতে বুঝা যাইতেছে যে, ভগাস্কুর ব্যতীত ক্ষুদ্রৌষ্ঠের দিক ও ভেসটিবিউলর ঘর্ষিত হওয়াতে ঐরূপ অপূর্ব আনন্দবোধ হইয়াছিল। “বিবৃতিদানকারী একজন ডাক্তার লেখেন—“প্রথম প্রথম বেশীক্ষণ সময় শৃঙ্গারে ব্যয় করবার মতো ধৈর্য থাকত না। স্বাস্থ্যবতী সুগঠিতদেহা স্ত্রী—তাঁকে আলিঙ্গনের মধ্যে পেলেই ভীষণ উত্তেজনা হত, মিলনে একটুও দেরী করতে ইচ্ছে হত না। অল্প কিছুক্ষণ শৃঙ্গার করেই তাঁর অল্প অঙ্গসিক্ত হয়েছে বা সিক্ত হবার উপক্রম হয়েছে বুঝতে পারলেই কয়েক সেকেন্ড আঙ্গুল দিয়ে ভগাস্কুর মর্দন করেই অঙ্গ-সংযোগ করতাম। মিলনে স্ত্রী মোটামুটি আনন্দ পেত এবং মাঝে মাঝে বাদ গেলেও প্রায়ই তাঁর চরমপুলক হতো। আমার মনোগত অভিপ্রায় ছিল যেন প্রত্যেক সংসর্গেই চরমপুলক লাভ করে, সেইজন্য চেষ্টা করে মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতেও সমর্থ হই। কিন্তু তা সত্বেও আশানুরূপ ফল হল না, আগের মতোই মাঝে মাঝে সে চরমতৃপ্তিলাভে বঞ্চিতা থাকতে লাগল। এজন্য কখনও কোন অনুযোগ করেনি, তবুও আমার নিজেরই ওটা খারাপ লাগত। যেদিন তাঁর চরমতৃপ্তি দেবার চেষ্টা করতাম, কিন্তু তাতে সে বাঁধা দিত—বলত যে তাঁর যথেষ্ট ভাল লেগেছে, ওসবের আর দরকার নেই। আমার মনে হত সে সত্য কথা বলছে না। মাস দুই এইভাবেই কাটে। আমার এবার মনে হতে লাগল যে আমি স্বার্থপরের মতো কাজ করছি; আরও কিছুক্ষণ শৃঙ্গারে ব্যয় করা উচিৎ । তখন থেকে আঙ্গিক মিলন করবার পূর্বে বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে আঙ্গুল দিয়ে ভগাস্কুর ঘর্ষণ করতে শুরু করলাম। কিন্তু অবস্থা পূর্বের মতোই রয়ে গেল অর্থাৎ মাঝে মাঝে ওর চরমপুলক বাদ যেতেই লাগল। আর একটি আকস্মিক ঘটনায় সুফল হয়ে গেল। একরাত্রে আঙ্গুল দিয়ে ভগাস্কুরে ঘর্ষণ করতে করতে কিছু না ভেবেই ভেস্টিবিউলে দিকে দিকে আঙ্গুল চালিয়ে দিতেই স্ত্রী বলল খুব ভালো লাগছে। তখন আরও কিছুক্ষণ ভেস্টিবিউলে আঙ্গুল ঘর্ষণ করে মিলিত হলাম এবং তাঁর ঐভাবেই অল্প সময়ে চরমতৃপ্তি হল। এই বার বুঝলাম তাঁর সুখানুভূতির মূল কারণ ভেস্টিবিউল ঘর্ষণ। আঙ্গুল দিয়ে ভগাস্কুর ঘর্ষণ করবার সময় আমি পাশাপাশি ঘষাতাম, কাজেই ভেস্টিবিউল অস্পর্শিতই থেকে যেত। কিন্তু সামনে-পেছনে ঘষাতে ভেস্টিবিউল এবং ক্ষুদ্রোষ্ঠ স্পর্শিতহয়েছে এবং স্ত্রীর তীব্র সুখানুভূতি হয়েছে। প্রতি মিলনে স্ত্রীকে সম্পূর্ণ তৃপ্ত করতে পারি বলে আমি গর্বিত। আমার অনেক বন্ধু বান্ধবেরই স্ত্রীরা এতটা সৌভাগ্যবতী নয়। যতটা জানি, অধিকাংশেরই প্রতি সংসরগে চরমতৃপ্তি লাভের সৌভাগ্য হয় না। (কেউ কেউ তো আবার স্ত্রীর চরমপুলক হয় কি না সে খবরও রাখে না)। ২/৩ বার মাত্র দীর্ঘবিরহের পর প্রথম মিলনে স্ত্রীর আগেই আমার চরমতৃপ্তি হয়ে গেছে। কিন্তু সে সময় আঙ্গুল দিয়ে ভগাস্কুরসহ ভেস্টিবিউল ঘর্ষণ করেছি। অথচ ঐ অবস্থায় শুধু ভগাস্কুর ঘর্ষণ করতে গেলে সে বাঁধা দিত। আমার এই কথা ভেবে আশ্চর্য বোধ হয় সে যতগুলি ইংরেজী বা বাংলা যৌনবিজ্ঞান সংক্রান্ত বই আমি পড়েছি, সবগুলিতেই স্তনের, ভগাস্কুরের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ভেস্টিবিউলের কথা কোথাও উল্লেখিত হয়নি। এই সব বইয়ের উপদেশমতো স্তনচুম্বন ও চোষণ, ভগাস্কুরে ঘর্ষণ, সঙ্গমের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি সবই করেছি, কিন্তু ভেস্টিবিউল ঘর্ষণ আরম্ভ করবার আগে কোনও কিছুতেই স্ত্রীকে এতটা তৃপ্তি দিতে পারি নি।” (গ) ভগাস্কুরে ঘর্ষণের দ্বারা যৌনবিদ ব্রায়ান রবিনসন বলেছেন, নারীর যৌনাঙ্গের বিভিন্ন অংশগুলোর মধ্যে ভগাস্কুরই হল সবচেয়ে বেশী অনুভূতিপ্রবণ। বৈদ্যুতিক ঘন্টার টেপাচাবিটিতে চাপ দিলে যেমন সঙ্গে সঙ্গে ঘন্টা বেজে ওঠে, ঠিক তেমনি ভগাস্কুর স্পর্শমাত্রই নারীর যৌন উত্তেজনা প্রখর হউএ ওঠে। কিনসে গবেষণাতেও দেখা গেছে, শতকরা ৯৮ ভাগ নারীরই ভগাস্কুর অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ। নারীর আত্মরতিকার্যেওভগাস্কুর বহুল ব্যবহৃত—একটি বা ততোধিক আঙ্গুলের সাহায্যে বা সম্পূর্ণ হাতের সাহায্যে ভগাস্কুরে চাপ দেওয়া হতে থাকে। এভাবে কেবলমাত্র ভগাস্কুর ঘর্ষণের দ্বারা নারীর পক্ষে চরমনান্দলাভ সম্পূর্ণ সম্ভব। সমকামাত্মক কাজেও দুটি নারী সাধারণতঃ পরস্পর পরস্পরের ভগাস্কুর মর্দন করে চরমতৃপ্তি আনয়নে সচেষ্ট হয়। স্বভাবতই রতিমিলন কালে নারীর ভগাস্কুরে ঘর্ষণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এতে কিভাবে নারীর রাগমোচন ঘটতে পারে তা নীচের ঘটনাটি থেকেই পরিস্কার বোঝা যাবে— ষোড়শ বর্ষাধিক বিবাহিত এক দম্পতি, সন্তানসন্ততি তিনিতি, দাম্পত্যজীবনে সর্বতোভাবে সুখী কিন্তু স্ত্রীর রাগমোচনের উপায়টি বিয়ের তিন বৎসর পড়ে হঠাৎ আবিস্কৃত হয় এবং একটু স্বতন্ত্র ধরণের। বিয়ের দু বৎসর চার মাস পরে স্ত্রী প্রথম গর্ভবতী হন। অন্য সময় প্রচলিত আসনে মিলিত হলেও এরা গর্ভাবস্থায় বসা কিংবা পাশাপাশি অবস্থায় মিলনের পক্ষপাতি। এক রাত্রে পাশাপাশি অবস্থায় অঙ্গ প্রবেশের সময় ভগাস্কুরে হঠাৎ ঘর্ষণ লাগে এবং এতে স্ত্রী যার-পর নাই পুলকিতা হন। তারপর স্ত্রী নিজের তৃপ্তির পথটি আবিস্কার করেন। শৃঙ্গার শেষে এরা মিলিত (স্বামীর তৃপ্তি আসে প্রচলিত আসনে ও স্বাভাবিক মিলনে) আর মিলনের মধ্যপথে কিংবা মিলনশেষে বসা অবস্থায় (কখনো বা পাশাপাশি অবস্থায়) সচুম্বন আলিঙ্গনে আর স্বামীর নিজ অঙ্গুলিকৃত ভগাস্কুর ঘর্ষণে এক থেকে দু মিনিটের মধ্যেই স্ত্রীর চরমতৃপ্তি আসে। প্রসঙ্গ তো উল্লেখযোগ্য, স্বামীর শৃঙ্গার ও রতিকাল যতই দীর্ঘস্থায়ী হক না কেন স্ত্রীর রাগমোচন হয় না এবং ভগাস্কুরে পুরুষাঙ্গ যোজনাপূর্বক অঙ্গক্রীড়ায় স্ত্রী বিরক্ত হয়। এবং এই বিচিত্র পদ্ধতির জন্য স্ত্রীরও কোন খেদ নেই। ভগাস্কুর-ঘর্ষণে অধিকাংশ নারীর চরমপুলক লাভ সহজসাধ্য হয় বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে একথাটা স্মরণ রাখতে হবে, একটা নিয়মকে সব নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে ধরা যায় না। সব নিয়মেরই ব্যতিক্রম আছে। এমন নারীও দেখা যায়, যার ভগাস্কুরের অনুভূতিপ্রবণতা অন্যান্য নারীদের চেয়ে অনেক কম। এসব নারীকে কেবলমাত্র ভগাস্কুর ঘর্ষণের দ্বারা উদ্দীপিত করা তথা তাঁর চরমতৃপ্তি সাধন করা কষ্টসাধ্য। ক্রনহৌসেন-দম্পতি কর্তৃক বিবৃত একটি বিবাহিত নারীর উক্তি শুনুন— “আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে বলে, তাঁর (স্বামীর) মনে হয় আমার বোধ হয় ভগাস্কুর নেই অথবা থাকলেও গভীর প্রোথিত অবস্থায় আছে। কারণ, এর আগে সে বহু নারীকে কেবলমাত্র ভগাস্কুরে ঘর্ষণ করে চরমানন্দ দান সক্ষম হয়েছিল। ইংল্যান্ডের একটি বিবাহিত নারীর স্বামী কিছুতেই তাঁর স্ত্রীকে তৃপ্ত করতে পারতো না। কিন্তু আমার স্বামী এই প্রক্রিয়ায় দেহসংযোগের পূর্বেই অন্তত একবার তাঁর চমরতৃপ্তি আনয়নে সমর্থ হয়েছিল। সে আমাকেও ঐ পদ্ধতিতে তৃপ্তি দানের চেষ্টা করে, কিন্তু আমি তৃপ্তি পাই না—আমার ভাগ্যই বোধ করি খারাপ! “কখনও কখনও আমার নিজেরই সন্দেহ হয় আমার ভগাস্কুর সত্যিই আছে কিনা। যদি থাকে, তাহলে আত্মরতিকার্যে ওখানটা ঘর্ষণের সময়ে কেবল উদ্দীপনা অনুভব করা ছাড়া অন্য কিছু বোধ আমার আসে না কেন, কেন আমি এতে চরমমান্দ পাই না? সেজন্যই ভাবি, আমার স্বামীর কথাই ঠিক—আমার ভগাস্কুর বেশিরকম প্রোথিত অবস্থায় রয়েছে। বোধ হয় দেহমিলনকালীন ঘর্ষণাদিতে এবং প্রচাপণে আমি তৃপ্তি পাই বেশি।” তাহলে বেশ বোঝা যাচ্ছে, অন্তত কিছু সংখ্যক শৃঙ্গার প্রয়োগে উত্তেজিতা হন। অন্য অন্য সময়ের কথা ছেড়ে দিলেও বিয়ের অব্যবহিত পরবর্তী সময়ে অনভ্যস্তা স্ত্রীরা ভগাস্কুর ঘর্ষণ করতেই হবে—কারণ, কেবলমাত্র এই পদ্ধতিতেই স্ত্রীর মানসিক ভয়-ভীতি, উৎকণ্ঠা ইত্যাদি দূর করা সম্ভব। প্রায়ই দেখা যায়, নববিবাহিতা স্ত্রী দেহমিলনে বেদনা অনুভব করছেন অথবা যোনিমুখে এমন তীব্র আক্ষেপ অনুভব করছেন যে দেহমিলনে অংশগ্রহণ তাঁর পক্ষে কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রেও ভগাস্কুর ঘর্ষণে সুফল লাভ সম্ভব। প্রসঙ্গত শ্রীআবুল হাসানৎ রচিত ‘যৌনবিজ্ঞান’ (২য় খণ্ড) থেকে একটা ‘কেস-হিস্ট্রি’র উল্লেখ করি। নববিবাহিত এক ডাক্তার যুবকের স্ত্রী বিবাহ পূর্ব দেহমিলনে ভয় পাবার ফলে পরবর্তী কালে কিরকম বিশ্রী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল এবং ভগাস্কুরে ঘর্ষণের দ্বারা যুবকটি কিভাবে সেই সমস্যার সমাধান করেন, ঘটনার বিবরণীটিতে তাঁর উল্লেখ পাওয়া যাবেঃ “এই যুবকের বিবাহ হয় তখন তাঁহার বয়স ২৪ বৎসর, স্ত্রীর বয়স ১৯। প্রণয়বিবাহ—বিবাহের দুই বৎসর পূর্ব হইতেই প্রণয়লীলা চলিতেছিল। শেষ পর্যন্ত বিবাহের দুই-তিন মাস পূর্বে, একদিন যৌনমিলনের উপক্রম হয়। ডাক্তারটির নিজের কথায়ঃ ‘অনেক কষ্টে সেদিন তাঁকে রাজী করাই। কিন্তু তাড়াহুড়ায় অঙ্গসংযোগ করতে গিয়ে ও অত্যন্ত ব্যথা পায় এবং রক্তস্রাব হতে থাকে। ও খুব ভয় পেয়ে যায়, আমিও অপ্রস্তুত হয়ে পরি। এর পর আর কোনও দিন, অনেক সুযোগ পাওয়া সত্বেও, আর ও চেষ্টা করিনি। বিয়ের ফুলশয্যার রাত্রে ওকে অনেক করে সাহস এবং অনেকক্ষণ ধরে একে প্রস্তুত করে খুব সাবধানে মিলনের চেষ্টা করলাম।কিন্তু কিছুতেই অঙ্গসংযোগ করা সম্ভব হল না। যতবার চেষ্টা করি ততবারই ও খুব ব্যথা বোধ করে। সে রাত্রে চেষ্টা পরিত্যাগ করলাম। পরের রাত্রে ঐ একই ব্যাপার হলো। ও বলল যে, ওর শরীরে নিশ্চয়ই কোথাও ক্রটি আছে, তা না হলে কোন মেয়ের তো এরকম হয় না। ওর কেন এরকম ব্যথা লাগছে। ওর কথায় একটু আশ্বত হলাম এই ভেবে যে যৌনমিলনে ওর অসম্মতি নেই, এবং ওর ব্যথা লাগার প্রতিকার করতে পারলেই সম্ভবপর হবে। পরদিন একে পরীক্ষা করলাম। দেখলাম যে সতীচ্ছদ বর্তমান নেই এবং যৌনাঙ্গের পরিণতি ও রসক্ষরণ স্বাভাবিক। কিন্তু উপক্রমেই ওর যোনিমুখ সঙ্কুচিত হয়ে গেল। তখন বুঝলাম বিয়ের আগে যে আঘাত পেয়েছিল তাঁর ফলে ওর এই মানসিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে প্রতিকারের উপায় চিন্তা করলাম। শয্যাগ্রহণের পর কদিন নানাভেবে ওকে উত্তেজিত করে ওর অঙ্গে ও তাঁর আশাপাশে আঙ্গুল ও নিজের অঙ্গ বুলিয়ে ওকে চরম পুলকের স্তর পর্যন্ত নিয়ে যেতাম। এইভাবে ওকে চরমপুলকলাভে এবং অল্পস্পর্শে অভ্যস্ত করাতে থাকি। শয্যা গ্রহণের আগে আমি স্বয়ংমৈথুন করে নিতাম—উদ্দেশ্য ছিল যাতে ওকে চরমপুলক লাভ করাতে গিয়ে, আমার স্খলন না হয়ে যায়, তাহলে ওর ঘৃণায় উদ্রেক হয়ে হয়ত অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। এছাড়া আমার উত্তেজনা – প্রশমনের জন্যও এটার প্রয়োজন ছিল। যাই হোক, এইভাবে ধৈর্য ধরে প্রায় ১ সপ্তাহ এই রকম চালিয়ে যাই। চরমপুলকের পর পরই লক্ষ্য করতাম যে ওর যোনিমুখ এই সময়ে খানিকটা খুলে যেত। ওর চরমপুলক হয়ে গেলেই আমার অনুরোধে ও মুখে সেটা আমাকে বলত। এইবার একদিন যেই ওর চরমপুলক হচ্ছে বলে ও আমাকে বলল আমি সঙ্গে সঙ্গে আংশিকভাবে অঙ্গসংযোগ করলাম। এত সহজে এটা হল যে প্রথমটা বুঝতেই পারেনি। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ নিষ্ক্রিয় ভাবে থেকে ধীরে ধীরে আর একটু প্রবেশ করালাম। ও সামান্য বেদনা পেল, তবে সেটা ওর নিজের কথায়ই ধর্তব্যের মধ্যে নয়। সেদিন আর সম্পূর্ণ প্রবেশ করাবার চেষ্টা না করে আংশিক মিলিত অবস্থায় ধীরে কিছুক্ষণ অঙ্গচালনা করে ছেড়ে দিলাম। পরদিন কিছুক্ষণ শৃঙ্গার করে আঙ্গিক মিলন সম্পদান করলাম, কোনই অসুবিধে হ না, পূর্ণ প্রবেশ হলো এবং পূর্ণ সংসর্গও হলো। তবে সেদিন ওর চরমতৃপ্তির আগেই আমার চরমতৃপ্তি হয়ে যায়। ২/৩ দিনের মধ্যেই আমাদের যৌনমিলনে পুরোপুরি সামঞ্জস্য এসে গেল—আর একদিনও কোনরকম অসুবিধে হয়নি।” (ঘ) প্রস্রাব চেপে রেখে এ সম্বন্ধে সর্বপ্রথম মত প্রদান করেন হ্যাভলক এলিস। বেশ কয়েকজন রমণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনি সিদ্ধান্ত করেন, নারী যদি খানিকক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখে এবং এই অবস্থায় দেহমিলনে লিপ্ত হয়, তাহলে তাঁর পক্ষে চরমনান্দ লাভ সহজসাধ্য হয়। যদিও এ সম্বন্ধে খুব বেশি গবেষণা হয়নি, তবুও শ্রীআবুল হাসানৎ এর থেকে গৃহীত আলোচ্য পত্রটিতে এই উক্তির সমর্থন পাওয়া যাবেঃ জনৈক ডাক্তার বন্ধু লেখেনঃ আমার অনুসন্ধান ক্ষেত্র হইতে হ্যাভ্লক এলিসের এই অভিমতের সমর্থন কয়েকটি ক্ষেত্রে পাইয়াছি। এক বন্ধুর স্ত্রী শেষরাত্রের মিলনে অধিকতর তৃপ্তি পান এবং সহজেই চরমপুলক লাভ করেন। আমার এক ডাক্তার বন্ধু বিবাহের পর প্রতিরাত্রে শয্যাগ্রহণের পরই স্ত্রীর সহিত সহবাস করিতেন ( যে দিন একাধিক সংসর্গ হইত সেদিন শেষ রাত্রে অথবা দ্বিপ্রহরেও সহবাস হইত) ইনিও লক্ষ্য করেন যে শেষরাত্রের সহবাসেই ইহার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশী সুখানুভূতি হয় এবং সহজেই চরম তৃপ্তি হয়। এইটি সঠিক ভাবে বুঝিতে পারিবার পর হইতে যখন তাহাদের ২৪ ঘন্টায় একবার হইত তাহা শেষ রাত্রেই হইত। বর্তমানে বিবাহের চতুর্দশ বৎসরে, স্ত্রী ছেলে মেয়েদের লইয়া স্বতন্ত্রকক্ষে শয়ন করেন,কিন্তু শেষ রাত্রে উঠিয়া স্বামীর নিকট আসেন। রোজ যে সংসর্গ হয় তাহা নহে, তবে সপ্তাহে ২/৩ বার করিয়া উভয়েই পক্ষে তৃপ্তিকর যৌন মিলন হয়। এই দুইটি উদাহরণেই শেষ রাত্রে মূত্রের থলি পূর্ণ থাকিবার ফলেই অধিকতর সুখানুভূতি হয় এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। একজন লেডী ডাক্তার বলেন যে, ব্লাডার ভর্তি থাকিলে সংসর্গে বেশী সুখানুভূতি হয়। শেষ রাত্রে কলে যাইতে হইলে বাথরুমে যাইবার আগে স্বামীর সঙ্গে মিলিত না হইয়া ছাড়েন না, আবার মধ্য রাত্রে যদি রোগীর বাড়ি থেকে ফেরেন, তবে প্রস্রা না করিয়াই স্বামী সহবাস করেন। বৃহৎ-লিঙ্গবিশিষ্ট স্বামীর সংস্পর্শ কখনও কখনও বেদনাদায়ক হইত কিন্তু ব্লাডার ভর্তি থাকা অবস্থায় উহা সর্বদাই পুলকপ্রদ । আরও দুইজন ভদ্রলোক বললেন যে তারা নিজে ও তাদের স্ত্রীরা শেষ রাত্রের সহবাসে অধিকতর আনন্দ পান।” (ঙ) মূত্রছিদ্রটি ঘর্ষণের দ্বারা নারীর মূত্রছিদ্রতিও তাঁর যৌন উত্তেজনায় একটি প্রধান কেন্দ্র। বিভিন্ন গবেষণায় স্পষ্টই প্রমাণিত হয়েছে, আত্মরতিকালে প্রতি দশজন নারীর মধ্যে অন্তত একজন ভগাস্কুরের সঙ্গে মূত্রছিদ্রটিও ঘর্ষণ করে চরমপুলক লাভ করে। আত্মরতিকালে ওখানে অপদ্রব্য ব্যবহারের দৃষ্টান্তও প্রচুর রয়েছে। প্রায় দুশো বছর আগে ইতালিয়ান শল্যচিকিৎসক মরগ্যাগনি বিভিন্ন নারীর মুত্রপথ থেকে বিভিন্ন দ্রব্য উদ্ধার করেন। ১৯৬২ সালে একটি বৃটিশ পত্রিকায় প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, একটি মহিলার মূত্রপথ থেকে একটি টুথব্রাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। টুথব্রাশটা মূত্রথলিতে চলে গিয়েছিল। উত্তেজনাকালে নারীর যোনিপথ যে রকম রসসিক্ত হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনি মূত্রছিদ্রের নিকটবর্তী স্কিন গ্রন্থি থেকে একধরনের রস ক্ষরিত হতে শুরু করে। এই রস মূত্রছিদ্রে উত্তেজনা আনে এবং অনেকে এ সময় ওখানে ঘর্ষণ পছন্দ করে। প্রখ্যাত যৌনবিদ ডিকিনসন একটি নারীর কথা লিখছেন। নারী প্রতিদিন তা মূত্রছিদ্রে কনিষ্ঠাঙ্গুলিটি প্রবেশ করিয়ে দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার আত্মরতি করতো এবং প্রতিবারই চরমানন্দ অনুভব করতো। কখনও কখনও মূত্রনিঃসরণকালেও নারী চরমপুলক লাভ করতে পারে। যৌন বিদদ্বয় ওয়াইশ এবং ইংলিশ ২৩ বৎসর বয়স্কা একটি কামশীলতা নারীর দৃষ্টান্ত লিপিবদ্ধ করেছেন। নারীটি কেবলমাত্র প্রস্রাবকালেই চরমপুলক লাভ করতো। পরবর্তীকালে তাঁর এই ক্রটি সংশোধিত হয়।
(চ) নারীর যৌনাঙ্গ লেহনের দ্বারা বইয়ের এই বিষয় টি এখানে উল্লেখ করতে পারতেছি না বলে আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। কেননা এটি ইসলামের আইন লঙ্ঘন করতে পারে। (মহা পরিচালক-আমার বাংলা পোস্ট) । আপনি পড়ছেনঃ মেডিক্যাল সেক্স গাইড থেকে>>নারীর চরমানন্দ
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.