শতাধিক যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হওয়া মিয়ানমারের সামরিক বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া গেছে আন্দামান সাগরে।
বুধবার স্থানীয় সময় ১টা ৩০ মিনিটে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বিমানটির। যাত্রীদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। মিয়েক থেকে ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বিমানটিতে বেশ কয়েকজন শিশু ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়েকের পর্যটন কর্মকর্তা নাইং লিন জাও বলেন, দাওয়েই শহর থেকে ১৩৬ মাইল দূরে সাগরে বিধ্বস্ত বিমানের একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌবাহিনী এখনো সাগরে খোজ অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, নৌবাহিনীর একটি উদ্ধার জাহাজ ইয়াঙ্গুন থেকে আকাশপথে সাগরে এক ঘণ্টার দুরত্বে বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছে।
বিমানটিতে কতজন ছিলেন সেটা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের সংখ্যা পাওয়া গেছে। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে জানা গেছে বিমানটিতে ১০৬ যাত্রী ছিল ও ক্রু চিল ১৪ জন। বিমান বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে বিমানটিতে অনেকগুলো শিশু ছিল। বিমানটির খোঁজে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ ও দুটি বিমানবাহিনীর বিমান নিয়োজিত করা হয়।
এখন মিয়ানমারে বর্ষার মৌসুম, তবে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার সময় খারাপ আবহাওয়ার কোনো খবর শোনা যায়নি। বিমানটি ছিল চীনে নির্মিত চার ইঞ্জিনের ওয়াই-এইটএফ-২০০ যেটি মিয়ানমার সেনাবাহিনী কার্গো আনা নেয়ায় ব্যবহার করে।
গত বছরের মার্চে মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড হওয়ার পরে এটি ৮০৯ ঘণ্টা ফ্লাইং আওয়ার অর্জন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ৫ জন ক্রুসহ রাজধানী নাইপিদোতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.