রাজবাড়ীর পাংশায় ধর্ষণে এক মাদরাসা ছাত্রী (১২) ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে মাদরাসাটির নৈশপ্রহরী অভিযুক্ত আব্দুল মালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় একটি মামলা করেছেন মেয়েটির মামা।
আব্দুল মালেক মণ্ডলের (৪৫) বাড়ি পাংশার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামে। তাঁর দুই স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। নির্যাতিত মেয়ে, তার পরিবার ও থানা-পুলিশ জানায়, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েটি মামাবাড়িতে থেকে একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করে।
গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে মালেক মণ্ডল নানা প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে মালেক ঘটনাটি থেকে নিজেকে বাঁচাতে ও ধামাচাপা দিতে কৌশল নেন। তিনি মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জন্য তার এক মামাতো ভাইকে (১৭) দায়ী করেন।
এই কিশোরকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন মালেক। গুরুতর আহত পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই কিশোর জানায়, তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেছেন মালেক। টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। সে বলে, ‘মালেক ঘটনা ভিন্ন দিকে নিতে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।
আমি তাঁর শাস্তি চাই। ’ ফাজিল মাদরাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, দ্রুত বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আলোচনার পর মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাংশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, মামলার আসামি মালেক আত্মগোপনে আছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গতকাল সকালে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। বিকেলে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.