ফোনের অপরপ্রান্তে কণ্ঠে ঘুমের রেশ। তাতে যেন একটু লজ্জা পেয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ, “উঠেছি একটু আগেই। রেশটা রয়ে গেছে।” রেশ রয়ে গেছে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ইনিংস ও দলের জয়েরও। তুমুল কৌতুহল তার উদযাপন নিয়েও।
কি বোঝাতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ? সেঞ্চুরির পর উইকেটে চুমু এঁকে দিয়েছেন। ব্যাট উঁচিয়েছেন ড্রেসিং রুমের দিকে। কৌতুহলের জায়গাটা এরপরই। ব্যাটে অটোগ্রাফ ধরনের কিছু একটা দেখাচ্ছিলেন আঙুল দিয়ে। বাচ্চাদের মতো কিছু একটা ভঙ্গি করেও দেখাচ্ছিলেন।
উদযাপনের আড়ালের গল্প কি? ড্রেসিং রুমে দারুণ প্রাণবন্ত ও হইচই প্রিয় হলেও বাইরে বেশ অন্তর্মু্খী মাহমুদউল্লাহ। ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো নিজের মাঝেই রাখতে চান। ২০১৫ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির পর তার উড়ন্ত চুম্বন নিয়েও ছিল অনেকের কৌতুহল।
মাহমুদউল্লাহ সেটা নিয়ে খোলাখুলি বলেছেন কমই। এবারও শুরুতে রাখতে চাইলেন নিজের মধ্যেই। তবে সবার আগ্রহের কথা জেনে এবিসি নিউজ টোয়েন্টিফোর কে বলতে রাজি হলেন গল্পটা।
“এবার ইংল্যান্ডে আসার আগে ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম। আমার ছেলে পাশে থেকে দেখছিল। হঠাৎ একটি ব্যাট নিয়ে ছেলেটা ওর নাম লিখল ব্যাটে। আমাকে বললো, ‘বাবা এই ব্যাট দিয়ে খেলো, ভালো খেলতে পারবে।’ আমি ওই ব্যাট দিয়েই খেলেছি। সেঞ্চুরির পর ছেলের কথাটিই বোঝাতে চেয়েছিলাম।”
৫ বছর বয়সী ছেলে অবশ্যই ক্রিকেটের জটিল অঙ্ক, হিসাব-নিকাশ বোঝে না। বাবার সেঞ্চুরির ওজনটাও বোঝার বয়স তার হয়নি। বাবা ভালো খেলেছেন, এতেই খুশি সে। বাবার আশীর্বাদ যে কোনো ছেলের বড় পাওয়া। এখানে ছেলের ভালোবাসার স্পর্শই ছিল বাবার অনুপ্রেরণা!
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.