দুর্নীতির মামলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা তাপস পালকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোজভ্যালি দুর্নীতির ঘটনায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাপস পালকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)।
সকালে তাপস পাল তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স সিবিআই দপ্তরে যান। সেখানেই তাঁকে দুই দফায় চার ঘণ্টা জেরা করা হয়।
তাঁর দেওয়া নথির ভিত্তিতে তাঁকে অবশেষে এদিন বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআইয়ের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর তাপস পাল এড়িয়ে যান বলে জানা যায়।
সিবিআই সূত্র জানায়, তাপস পালকে জেরা করে বেশ কিছু প্রশ্নের অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম অর্থনৈতিক সংস্থা রোজভ্যালির ঘটনায় তাপস পালকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।
এর আগে রোজভ্যালি গ্রুপের এন্টারটেইনমেন্ট এবং ফিল্ম ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাপস ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই।
সেই সূত্রে রোজভ্যালির সঙ্গে তাঁদের বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয় বলে জানা যায়।
সিবিআই জানায়, ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রোজভ্যালি সংস্থার সঙ্গে তাপস পালের চেক ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
সেই সময় রোজভ্যালি গ্রুপের ফিল্ম ডিভিশন সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তাপস। জানা গেছে, তাঁর সঙ্গে ওই সময় রোজভ্যালি সংস্থার কী চুক্তি হয়েছিল তা তাপসকে জেরা করে জানতে চান সিবিআই কর্মকর্তারা।
গত বছর মার্চ মাসে তাপস পালের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। সেই সময় বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু নথিপত্র।
গত মঙ্গলবার সিবিআইয়ের এক প্রতিনিধিদল তাপস পালের বাড়িতে গিয়ে নোটিশ দিয়ে আসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার সকালেই আইনজীবীকে নিয়ে সস্ত্রীক সিবিআই দপ্তরে হাজির হন তাপস পাল।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গে সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে একাধিক তৃণমূলের নেতা ও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। যদিও তাঁদের অনেকে এরই মধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
তাপস পাল ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.