ভারতের পুনের চাকান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ৭২টি বিষধর সাপ।
এরমধ্যে ৪১টি রাসেল ভাইপার ও ৩১টি কেউটে রয়েছে। দু'বোতল সাপের বিষও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের নাম রঞ্জিত খাগড়ে (৩৭) ও ধনঞ্জয় বেলকুটে (৩০)। অভিযুক্তরা সাপগুলি থেকে বিষ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতেন বলে জানা গেছে।
উদ্ধার হওয়া সাপগুলিকে বনদপ্তরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধৃত রঞ্জিত খাগড়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চাকান এলাকার ওই ফ্ল্যাটে থাকেন।
সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয় চাকান থানার পুলিশ। আর ফ্ল্যাটের ভেতরে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে তাদের।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, “রবিবার আমাদের কাছে খবর আসে যে চাকান এলাকার একটি ফ্ল্যাটে প্রচুর পরিমাণে বেআইনিভাবে সাপের বিষ সংগ্রহ করে বিক্রি করা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে হানা দিতেই মেলে সাফল্য।
সাপের বিষ পাচার করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১টি রাসেল ভাইপার ও ৩১টি কেউটে সহ মোট ৭২টি বিষধর সাপ বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে আমরা যখন ওই ফ্ল্যাটে যাই তখন সেখানে মূল অভিযুক্ত রঞ্জিত খাগড়ে ছিলেন না। ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা।
তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায় যে কাঠের বাক্স, চটের ব্যাগ ও প্লাস্টিকের ড্রামে ওই সাপগুলিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
অবাক করা বিষয় হল এই ভাবে সাপ লুকিয়ে রাখার বিষয়টি রঞ্জিত খাগড়ের সন্তানরাও জানত। ”
তদন্তে জানা গেছে, ওই সাপগুলি জঙ্গল থেকে ধরে এনে ওই ফ্ল্যাটে প্রথমে রাখা হত। তারপর সেগুলি থেকে বিষ সংগ্রহ করে বিক্রি করার জন্য পাঠানো হত বিভিন্ন জায়গায়।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.