ভারতের শিয়ালদা-আজমের সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ১৪টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের কানপুরর শহরের রুবার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৫জন।
ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পৌঁচেছে উদ্ধারকারী দল। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার জেরে ব্যাহত হচ্ছে শিয়ালদা রুটের ট্রেন চলাচল।
হাওড়া এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত। তবে কেউ মারা যাননি বলেই দাবি করেছেন উত্তর-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা বিজয় কুমার।
যদিও কানপুর পুলিশ প্রধান জাকি আহমেদ দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আহত আটজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক ।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি শুষ্ক খালের ওপর দিয়ে সেতু পারাপারের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি।
ওই ট্রেনের যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ওই ট্রেনে থাকা এক যাত্রী রিজওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘তীব্র ঝাঁকুনিতে আমার ঘুম ভেঙে যায়।
দেখি ট্রেন একদিকে কাত হয়ে রয়েছে। লাফিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি, দেখি অনেকগুলো কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে আছে।’
এর আগে গত ২০ নভেম্বর মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিল কানপুর। গভীর রাতে পুখরায়ার কাছে লাইনচ্যুত হয় ইন্দোর থেকে পাটনাগামী ১৯৩২১ রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় প্রায় ১৫০জনের। আহত হন দেড়শতাধিক যাত্রী।
ওই ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কানপুরের কাছে রেল দুর্ঘটনা।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.