সারদা কাণ্ডে নাম জড়ানোর পর থেকেই রাজনীতি থেকে চলে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। এ বার রাজনীতির সঙ্গে যে সামান্য সম্পর্ক ছিল তাও চুকিয়ে ফেলতে আজ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী।
গত বছরের ১০ জুন রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এখন তাঁর ইস্তফা গৃহীত হলে মাত্র তিন দিন সংসদে উপস্থিত থাকার মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে চলেছে মিঠুনের সংসদীয় জীবন।
সংসদীয় নিয়ম হল, রাজ্যসভার কোনও সাংসদ ইস্তফা দিতে চাইলে চেয়ারম্যানের কাছে এসে ইস্তফার কারণ জানাতে হয়।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদকে প্রশ্ন করে জেনে নেন যে ওই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় না দলের চাপে ইস্তফা দিচ্ছেন। জবাব সন্তোষজনক হলেই সাংসদের ইস্তফা গৃহীত হয়।
তৃণমূল জানিয়েছে, কিছু দিন ধরে রাজ্যসভার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে আসছিলেন মিঠুন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাতে সায় ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি মত বদলান তৃণমূল নেত্রী। ইস্তফাপত্রে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আনসারির সামনে উপস্থিত হওয়া থেকে ছাড় চেয়েছেন মিঠুন।
দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘একই সঙ্গে দলকেও চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন মিঠুন।’’ অসুস্থ মিঠুনকে যাতে সশরীর চেয়ারম্যানের সামনে ইস্তফাপত্র পেশ করতে না হয় সে জন্যও ভিতরে ভিতরে তদ্বির শুরু করেছে তৃণমূল।
সারদা মামলার অন্যতম আবেদনকারী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, ‘‘মিঠুন দুর্নীতিগ্রস্ত নন। কিন্তু আস্তাকুঁড়ে থাকলে ল্যাংড়া আমও পচে যায়। কেউই পার পাবেন না।’’
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.