প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, তাদের এক হাত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেছেন, যাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে বা দেশে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে, তারাই এসব সমালোচনা করেন।
শুক্রবার রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক-কর্মচারীদের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ৫৭৯ জনকে কল্যাণ ও অবসর সুবিধা বাবদ প্রায় ২৪ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ৬ বছরে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা শিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
যেখানে বিএনপি দিয়েছিল মাত্র ৩৫০ কোটি টাকা। সম্প্রতি পঞ্চম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার বিরোধিতা করছেন শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ।
চলতি বছর পরীক্ষার আগে অভিভাবকদের একাংশ এই পরীক্ষা নেয়ার বিরোধিতাও করেছিলেন।
তবে বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের দিন প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি তিনটি কারণে এই পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে। প্রথমত, এতে সব পরীক্ষার্থীর দিকেই স্কুলগুলো সমান নজর দেয়, দ্বিতীয়ত. শিশুদের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে ভীতি দূর হয় এবং তৃতীয়ত শিশুরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে।
শিক্ষামন্ত্রীও বলেন, আগে পঞ্চম শ্রেণিতে দুটি পরীক্ষা হতো। একটি সমাপনী এবং একটি বৃত্তি পরীক্ষা। আমরা বরং একটি পরীক্ষা কমিয়েছি।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় যারা ভালো করছে তাদেরকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ এই পরীক্ষা নিয়ে সমালোচনা করে।
তাদের বাচ্চা বিদেশে পড়ে, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। হাজার হাজার টাকা দিয়ে পড়ান তারা।
কিন্তু বাংলাদেশে গরিব মানুষের বাস। সবাইকে পড়াতে হবে।
এই যুক্তি তারা মানতে চান না।‘ মন্ত্রী বলেন, ‘আবার একশ্রেণির জ্ঞানী আছেন, যারা পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেই এর সমালোচনা করেন।
তাদের কাজই হলো আমাদের বাচ্চাদের নিরুৎসাহিত করা, হাতাশ করে দেওয়া। ফল প্রকাশ হলেই এরা টেলিভিশনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বলেন কিছুই হয়নি, কিছুই হয়নি। বলেন এসএসইসি, এসচএসইসির মানটাই না কি দেখানো মান।’ মন্ত্রী বলেন, ‘এই জ্ঞানবানদের বলবো আমাদের ভুল থাকলে ধরিয়ে দেন। কীভাবে বাচ্চাদের ভালো আরও ভালো করে শেখানো যায়, শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা যায়।‘
১ জানুয়ারি বই উৎসব করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবার ১ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল, তারপরও আমরা সব স্কুলে একযোগে ওই দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছি।
এবারও ১ জানুয়ারি বই উৎসব করা হবে। ইতিমধ্যে সব স্কুলে বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পাঠ্যপুস্তক উদ্বোধন করবেন।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.