ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রায় দোরগোড়ায়। ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেলার বিভিন্ন প্যাভেলিয়ন ও স্টলের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থায় দিন-রাত কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না তারা।
মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গণে সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার বিভিন্ন স্টলের নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
কাজের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে দুইভাগে ভাগ হয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। একদলের খাবার শেষে অন্যদল খাবারের বিরতিতে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেলা উদ্বোধনের আগেই সকল কাজ শেষ করতে হবে। এ জন্য দিনের শেষে রাতেও কাজ করতে হচ্ছে।
তবে স্টলের নান্দনিকতা বাড়াতে চেষ্টার কোনো কমতি নেই। এ প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক জিয়াউল হক বলেন, দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বেশিরভাগ প্যাভিলিয়ন ও স্টলের কাজ শেষ হয়েছে।
এখন চলছে রঙ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। এ জন্য দিন-রাত কাজ করা হচ্ছে।
আশা করছি, মেলা উদ্বোধনের আগেই সকল কাজ শেষ হবে। নাদিয়া ফার্নিচার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছিলেন ডিজাইন কনসালটেন্ট ফারুক আহমেদ।
তিনি জানান, সময়টা কম, তাই কাজ এগিয়ে নিতে রাতেও ব্যস্ত থাকছে শ্রমিকরা। একইভাবে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে কোম্পানির সুপারভাজার জানান, আমাদের নিজস্ব আর্কিটেক্টরাই স্টলের ডিজাইন করেছেন। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।
প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চারতলা কাঠামোর ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে মোবাইল ইলেক্ট্রনিক্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রি হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে প্রতি বছর মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ইপিবি)।
বিশ্বের ২০টি দেশের অংশগ্রহণে আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। গতবারের মতো এবারও কার্জন হলের আদলে গেট নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০টি দেশের মধ্যে নতুন দেশ হিসেবে অংশ নিচ্ছে মরিশাস ও ঘানা।
তবে এ দুটি দেশ ছাড়াও থাকবে ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, নেপাল, হংকং, জাপান, আরব আমিরাতের প্রায় অর্ধশতাধিক স্টল।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, মেলায় ১৪টি ক্যাটাগরিতে ৫৪৬টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে তিন ক্যাটাগরিতে মোট স্টল থাকবে ৩৪৭টি। জেনারেল, রিজার্ভ ও বিদেশি -এ তিন ক্যাটাগরিতে মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ১১২টি।
এছাড়া থাকবে ৫৬টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৬টি ফুড স্টলসহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ।
এছাড়া মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, এটিএম বুথ, রেডিমেড গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্ত শিল্পজাত, পাট ও পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহার সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ক্রোকারেজ, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হার্বাল ও প্রসাধন সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেক্টনিক্স সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচার স্টল থাকবে এবারের বাণিজ্য মেলায়।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.