ইমরানের নতুন আবিষ্কার সাহাদাৎ




মধু হই হই’ গানের শিল্পী জাহিদের কথা মনে আছে? যে জাহিদকে আবিষ্কার করেছিলেন ইমরান হোসেন। যে জাহিদের গানের সঙ্গে ইউকেলেলে বাজিয়েছিলেনও তিনি। সেই ইমরানের এবারের আবিষ্কার খুদে বংশীবাদক সাহাদাৎ।


‘আনন্দনগর’ নামের একটি গানের দল আছে ইমরানের। গান ও দেশভ্রমণ—এই দুটি নিয়েই ব্যস্ত থাকে দলটি।

 ইমরান বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জাহিদের মতো এমন বিরল প্রতিভা খুঁজে বেড়ান। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি আবিষ্কার করলেন সাহাদাৎ হোসেনকে।

 সাড়ে ১১ বছর বয়সী সাহাদাৎ বাঁশি বাজায়। গত মঙ্গলবার প্রথম আলো অফিসে সাহাদাৎকে নিয়ে এসেছিলেন ইমরান। কথার ফাঁকে বেশ কিছুক্ষণ বাঁশি বাজিয়ে শোনাল সে। বংশীবাদক সাহাদাৎকে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা বললেন ইমরান।

 ‘ওর বাবা রাজু মিয়া ধানমন্ডি লেকে বাঁশি বিক্রি করেন। নিজেও বাঁশি বাজান। আমার সঙ্গে অনেক দিনের পরিচয়। লেকে হাঁটতে গেলেই দেখা হয়।

 আমরা রাজু মিয়াকেই দলে নিতে চেয়েছিলাম। আসেননি। বলেছিলাম ছেলে বড় হলে বাঁশি বাজানো শিখিয়ে যেন আমাদের দলে দেন।’

রাজু মিয়া কথা রেখেছেন। বছর খানেক আগে থেকে ছেলেকে বাঁশি বাজানো শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর সপ্তাহ তিনেক আগে ইমরানদের দলের সঙ্গে নিয়মিত বাঁশি বাজানো শুরু করেছে সাহাদাৎ। ইমরান বাজাচ্ছেন ইউকেলেলে, বাঁশিতে সাহাদাৎ

 কবির হোসেনরাজু মিয়া বললেন, ‘বাঁশি বাজানো নিয়ে আমার ছেলের খুব আগ্রহ আছে। এ কারণে ইমরান ভাইদের দলে দিয়েছি।

 ইচ্ছা আছে ছেলেকে ছায়ানটে ভর্তি করিয়ে ভালোমতো বাঁশি বাজানো শেখাব।’ ইমরান জানালেন, সাহাদাৎ দলে যোগ দিয়েই আনন্দনগরের সঙ্গে প্রথম শো করেছে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে।

 তারপর ঢাকা ও ঢাকার বাইরেও বেশ কয়েকটি শো করেছেন তাঁরা। বাঁশির প্রতি আগ্রহের কথা জানতে চাইলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সাহাদাৎ বলল, ‘বাবার কাছ থেকে শিখেছি। আমার খুব ভালো লাগে।’
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.