২০১৫ সালে দুনিয়াজুড়ে ৮০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে। আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ৮৯ বিলিয়ন ডলার। যথারীতি গতবছরও অস্ত্র বিক্রির শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই বছর ৪০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৫ সালে সারা বিশ্বে বিক্রি হওয়া অস্ত্রের অর্ধেকই ছিল ওয়াশিংটনের। এমনটাই উঠে এসেছে গত সপ্তাহে প্রকাশিত মার্কিন কংগ্রেসের এক প্রতিবেদনে।
অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের পর রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন। আর ক্রেতাদের মধ্যে শীর্ষে ছিল কাতার, মিসর, সউদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরাক। দ্বিতীয় শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতা দেশ ফ্রান্স গতবছর বিক্রি করেছে ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স দুই দেশেরই এর আগের বছরের চেয়ে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিক্রি বেড়েছে ৪ বিলিয়ন ডলার আর ফ্রান্সের বেড়েছে ৯ বিলিয়ন ডলার। অস্ত্র বিক্রেতা অন্য উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে ছিল সুইডেন, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং ইসরায়েল।
ক্রেতা দেশগুলোর মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি করে কাতার।
মিসর কিনেছে ১২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার করেছে সউদি আরব। ২০১৫ সালে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ৬৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় করে।
আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ৭৯ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বাড়লেও কমেছে রাশিয়ার। ২০১৪ সালে রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
২০১৫ সালে এটি কমে ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি রুশ অস্ত্র কিনেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ‘ভেনিজুয়েলা’।
২০১৫ সালে চীনের অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৬ বিলিয়ন ডলার। এটা ছিল এর আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রতিবেদন প্রণেতারা বলছেন, আগের বছরের তুলনায় ২০১৫ সালে অস্ত্র বিক্রির মোট পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
এজন্য তারা বিশ্ব অর্থনীতিতে দুর্বল অবস্থানে থাকা দেশগুলোর আর্থিক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। কারণ বাজেট সমস্যার কারণে অনেক দেশ তাদের প্রত্যাশিত পরিমাণে নতুন সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারেনি।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.