ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিতর্কিত দাতব্য সংস্থা ‘ট্রাম্প ফাউন্ডেশন’ বন্ধের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠান নিয়ে একটি তদন্ত চলছে যুক্তরাষ্ট্রে ।
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কোনো ধরনের স্বার্থের দ্বন্দ্বের কথা উঠুক, তা তিনি চান না। বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প ফাউন্ডেশনে সম্ভাব্য অনিয়মের ওই অভিযোগ তদন্ত করছে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।
সেখান থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালে ট্রাম্প তার ফাউন্ডেশন বন্ধ করতে পারবেন না। অবশ্য ট্রাম্প কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
শনিবার ডলার সহায়তা দিয়েছে, যাদের মধ্যে প্রবীণ, শিশু এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীরা রয়েছেন। “তারপরও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করছে বলে মনে হতে পারে- এমন যে কোনো কিছু আমি এড়িয়ে চলতে চাই।
জনসেবার যে প্রবল আগ্রহ আমার রয়েছে, তা আমি অন্যভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ট্রাম্প তার বহুল বিক্রিত বই ‘দি আর্ট অব দি ডিল’ বিক্রির টাকায় ১৯৮৭ সালে নিজের নামে এই দাতব্য প্রতিষ্ঠান খোলেন।
২০০৫ সালের পর থেকে এই ফাউন্ডেশন ট্রাম্পের বন্ধু আর সহযোগীদের কাছ থেকেও তহবিল নিতে শুরু করে। ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৯৫ ডলার, যার মধ্য ৫ লাখের বেশি এসেছে নিউ ইয়র্কের টিকেট-রেসলিং মুঘল রিচার্ড ইবরেসের দান থেকে।
ওই সময় পর্যন্ত ফাউন্ডেশন বিতরণ করেছে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৪৫০ ডলার। ২০১৩ সালে ফ্লোরিডার অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতির একটি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর রিপাবলিকান নেতা পাম বন্ডির সমর্থক একটি গ্রুপকে ২৫ হাজার ডলার অনুদান দেয় ট্রাম্প ফাউন্ডেশন।
এ বিষয়টি নিয়ে গত জুনে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সেই তদন্ত আর হয়নি।
তবে এক্ষেত্রে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের অনুদানের কোনো ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন পাম বন্ডি। ট্রাম্পের সহযোগীরা অবশ্য স্বীকার করেছেন যে ওই অনুদানটি দেওয়া হয়েছে ভুলক্রমে; আর তা ছিল কেরানিদের ভুল।
গত ৮ নভেম্বর নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে যুক্তরষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নিউ ইয়র্কের ধনকুবের ট্রাম্প।
২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন তিনি।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.