ফের মানহানির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল-সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্লোগান-বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে করা ওই মামলায় বুধবার (১ নভেম্বর) আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত।
ইমরানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রকাশ বিশ্বাস।
গত ২৬ অক্টোবর ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। ওইদিন অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
এ আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামি গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া সনাতন উল্লাস ও মামলার বাদী গোলাম রব্বানী সেদিন আদালতে হাজির ছিলেন।
এর আগেও আদালতে না আসায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ইমরানের সঙ্গে সনাতনের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন একই আদালত। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তারা।
গত ৩১ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী সিএমএম আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে ১৬ জুলাই আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন আদালত। ওইদিন আত্মসমর্পণ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাসুদ জামানের আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন ইমরান-সনাতন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে গত ২৮ মে রাতে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিলে ‘ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাঁচি না’, ‘বাংলাদেশ হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’ স্লোগান দেওয়া হয়। এ স্লোগানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে যে কটূক্তি করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ ও তার মানহানি হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে মুখপাত্রের
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.