রাজশাহীতে প্রায় নয় মাস আগে এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের। পদ্মা পাড়ে প্রাতর্ভ্রমণে বের হয়ে নাশতা করেছিলেন কালাই রুটি দিয়ে। কথা দিয়েছিলেন আবার আসবেন, আবার কালাই রুটি খাবেন। নয় মাস পর রাজশাহী সফরে এসে সেই কথা রাখলেন।
আবারও পদ্মাপাড়ে বসে কালাই রুটির সঙ্গে বেগুন ভর্তা দিয়ে সারলেন সকালের নাশতা।
আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় নাশতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুই দিনের সফরে তিনি গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী এসেছিলেন।
কালাই রুটি খেতে মিনা বেগমের খোলা দোকানে ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সকাল ৭টার দিকে রাজশাহী পর্যটন মোটেল থেকে বের হন। সেখান থেকে তিনি মোটেলের পাশে অবস্থিত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় কিছু সময় হাঁটেন। এরপর তিনি গাড়িতে করে রাজশাহী নগরের কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে তিনি শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মার ধারে আসেন। এরপর শহর রক্ষা বাঁধের পাশে অবস্থিত মিনা বেগমের খোলা দোকানে বসেন। সেখানে তিনি বেগুন ভর্তা দিয়ে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী কালাই রুটি খান।
এ সময় মন্ত্রীকে কালাই রুটির দোকানে দেখে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় তরুণদের অনুরোধে তাদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন ওবায়দুল কাদের। সেখানকার মানুষের কথা শোনেন তিনি। পরে কালাই রুটি খাওয়ার ছবি নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন ওবায়দুল কাদের। বেলা ১১টায় রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। দুপুরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী ছাড়েন।
মন্ত্রীকে পাশে পেয়ে অনেকে সেলফি তুলতে জড়ো হন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী সড়ক ভবনে এক পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। শেষে রাজশাহীর সাংবাদিকেরা কালাই রুটির কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী আসলাম আর কালাই রুটি খাব না, তা হতে পারে না।’ তবে কখন তিনি রুটি খেতে যাবেন তা খোলাসা করেননি।
আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘আবার রাজশাহী আসলে, আবার কালাই রুটি খাব। রাজশাহীর প্রেমে পড়ে গেছি। না এসে পারব না।’
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.