প্লেন জিম্মি করে ’হামলার পরিকল্পনাকা


রাজধানীর দারুসসালাম থেকে আটক বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট সাব্বিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার তাঁর ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ।


এদিকে, সাব্বিরসহ চার জঙ্গির বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন পুলিশ। বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় বুধবার তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে বিকাল ৩টার দিকে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ।

এর আগে, গত সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাব্বিরসহ চারজনকে আটক করা হয়। আটক অন্যরা হলেন নিহত জঙ্গি আবদুল্লাহ যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদের স্ত্রী ও সাব্বিরের মা সুলতানা পারভিন, পারভিনের আত্মীয় আসিফুর রহমান ও আলম। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, সাব্বির ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ২০১০ সালে থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারওয়েজে চাকরি করেন। ওই বছরই তিনি বিমানের পাইলটের চাকরি নেন।

বিমানের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে সাব্বির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চালাতেন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। তবে জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। নিহত জঙ্গি সারোয়ার জাহানের কাছ থেকে সাব্বির বায়াত গ্রহণ করেন। গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলার আগে ও পরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। এরই অংশ হিসেবে সাব্বির বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাতের পরিকল্পনা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

এ ছাড়া বিমানের যাত্রীদের জিম্মি করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও তাঁর ছিল। প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর মাজার রোডের বর্ধন বাড়ি এলাকায় ‘কমল প্রভা’ নামের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযান চলার সময় ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ ভয়াবহ রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়। অভিযানে জঙ্গি আবদুল্লাহ ও তার পরিবার আত্মসমর্পণের জন্য সময় নেয়। কিন্তু পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবদুল্লাহ, তাঁর দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগী আত্মাহুতি দেয়।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.