নিজের পরিচয় দিয়ে বলতেন, তিনি ‘এসপি মুন্নির খালা’। এই ভুয়া পরিচয়ে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রিনা বেগম নামের এক নারী দীর্ঘদিন ধরে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।
এবার র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
রিনা বেগমকে (৪৫) গতকাল বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল। মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইতন্দী গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিজেকে এসপির খালা পরিচয় দেওয়া রিনা সোনাইতন্দী গ্রামের মো. মতিয়ার লস্কারের স্ত্রী।
ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই নারী (রিনা বেগম) নিজেকে লালমনিরহাট জেলায় কর্মরত ‘এসপি মুন্নির খালা’ হিসেবে পরিচয় দিতেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাগুরা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। রইছ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, লালমনিরহাটে মুন্নি নামে কোনো এসপি নেই। গ্রেপ্তার হওয়া রিনা বেগম ইন্টারনেট থেকে পুলিশের পোশাক পরা এক নারীর ছবি নামিয়ে, তা লালমনিরহাটের এসপির বলে পরিচয় দিতেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন মাস আগে রিনা ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের মো. অলিউর রহমানের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাসকে (৩০) পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি সোনার গয়না হাতিয়ে নেন।
তিন মাসেও চাকরি না হওয়ায় জাহাঙ্গীর বিষয়টি লিখিতভাবে র্যাবের ফরিদপুর ক্যাম্পে জানান। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রিনা দোষ স্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে নিজের কণ্ঠ পরিবর্তন করে ‘এসপি মুন্নি’ নামে প্রতারণা করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বাদী হয়ে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগে রিনা বেগমসহ দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.