জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুইদিনে ১১ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে আজ সোমবার মামলা করেছেন। আজ সোমবার বি ও এইচ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে সাতজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটের পরীক্ষা চলার সময়ে চারজনকে আটক করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার আটককৃতরা হলেন ঢাকা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম, সিটি ইউনিভার্সিটির আরিফুল ইসলাম, কুমিল্লার ভর্তিচ্ছু মেহেদী হাসান, ঢাকার মতিঝিলের দীপ্ত শিকদার ও মো. আশরাফুল আলম, রংপুরের মো. আসাদুজ্জামান এবং মুন্সীগঞ্জের ইমাদ হোসেন।
এদের মধ্যে আতিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের পাশ থেকে সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়। প্রক্টরিয়াল বডির জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ ও আতিকের কাছ থেকে একাধিক ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীর মূল ট্রান্সক্রিপট, ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বরসহ অন্যান্য কাগজপত্র এবং লেনদেনের বিভিন্ন তথ্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার জালিয়াতির অভিযোগে আটককৃতরা হলেন ভোলা সদর উপজেলার মোহাম্মদ জামাল হোসেন, যশোরের শাহনিয়াজ মাহমুদ, রাজধানীর কল্যাণপুরের শোয়েব আলম চৌধুরী ও শ্যামলীর মু. মুনিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘জালিয়াতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সদা সতর্ক রয়েছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইদিনে বেশ কয়েকজনকে আটক করে আমরা পুলিশে সোপর্দ করেছি।’ আটককৃতদের আগামীকাল মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.