শেষপর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জয় স্বপ্নই রয়েগেল জিম্বাবুয়ের


জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট অঙ্গনের দুরাবস্থা চলছে অনেক দিন ধরেই তবে ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো নৈপুণ্যই দেখিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা।
চলে গিয়েছিলেন ফাইনাল পর্যন্ত, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের স্বপ্নই ভর করেছিল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট সমর্থকদের মনে কিন্তু শেষপর্যন্ত তেমনটা হলো না। শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করল স্বাগতিকরা। ৬ উইকেটের সহজ জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।

জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১৬০ রানেই আটকে দিয়ে জয়ের কাজটা অনেকখানি এগিয়েই রেখেছিলেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা। ১৬১ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২.৩ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা।

ফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কার অবশ্য উঠেছে তরুণ ডানহাতি ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিসের হাতে। তিনিও খেলেছেন ৫৭ রানের ইনিংস। ব্যাট হাতে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। প্রথম বলেই হারিয়েছিল ওপেনার ধনঞ্জয় ডি সিলভার উইকেট। পঞ্চম ওভারে ২৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেছিলেন নিরোশান ডিকওয়েলা (১৬)।

সপ্তম ওভারে কুশাল পেরেরার উইকেটও তুলে নিয়ে জয়ের আশাই জাগিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। কিন্তু এরপর প্রতিপক্ষকে আর কোনো সুযোগ দেননি কুশাল মেন্ডিস ও থারাঙ্গা। চতুর্থ উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিলেন দলের জয়। ২৮তম ওভারে ৫৭ রান করে মেন্ডিস আউট হয়ে গেলেও কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি লঙ্কানদের। পঞ্চম উইকেটে ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন থারাঙ্গা ও আসেলা গুনারত্নে। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা।

মাত্র আট রানে প্রথম উইকেট এবং ১৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তারিসাই মুসাকান্দা ও ক্রেইগ অরভিনের ৫৩ রানের জুটিটি আশা জাগিয়েছিল জিম্বাবুয়ে শিবিরে। কিন্তু ১৬তম ওভারে এই জুটি ভাঙ্গার পরই নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরে ফিরতে থাকেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা । ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রান করে দলের রানের পালে হাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেন উইলিয়ামস।

দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের সঙ্গে। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডার।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে ভালো বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তরুণ লেগস্পিনার জেফারি ভ্যানডারসে ও আসেলা গুনারাত্নে।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.