সিলেট সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহ পরাণের (র.) মাজার জিয়ারত করেছেন। বুধবার বেলা ১১টায় সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে প্রথমে শাহজালাল এবং পরে শাহ পরাণের মাজারে যান সরকারপ্রধান।
দুই আউলিয়ার মাজারে তিনি কিছু সময় অতিবাহিত করেন এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন। মাজার জিয়ারতের পর জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে গঠিত ১১ পদাতিক ব্রিগেডের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই বেলা ১১টার পর তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ফারুক খান, মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও দীপু মণি এই সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন।
সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর একটি জনসভায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় আচরণবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন কামরান। সিলেট সফর শেষে বিকালেই তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে বলে প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে সিলেটে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তাকে স্বাগত জানাতে দেয়ালে দেয়ালে টানানো হয়েছে পোস্টার। তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। চলতি বছর সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর এটি।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি সিলেট সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে সিলেট মহানগরীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। “প্রধানমন্ত্রী যেসব সড়ক দিয়ে যাবেন, সেসব সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা।”
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.