ডা. ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের গ্রেপ্তারে বাধা নেই


দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ ডা. এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ের সাজা স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদেস্যর আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। আসামিরা হলেন, ডা. ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, ছেলে মঈনুদ্দিন ইকবাল ও ইমরান ইকবাল, মেয়ে নওরিন ইকবাল। আপিল বিভাগের আদেশের ফলে এখন তাঁরা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে কোনো বাধা থাকল না। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

অপরদিকে ড. ইকবালের পরিবারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ ও কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী। আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ২০০৮ সালে এইচ বি এম ইকবাল, তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগমসহ দুই ছেলে ও এক মেয়েকে সাজা দেন বিশেষ আদালত। এইচ বি এম ইকবাল নিম্ন আদালতে ২০১০ সালে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরের বছর হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন।

 তবে ডা. ইকবালের স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলে আদালতে কখনোই আত্নসমর্পণ করেননি। হাইকোর্টে তাঁদের সাজা স্থগিত করার মেয়াদ শেষ হয় ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে। ছয় বছর চুপচাপ থেকে নতুন করে স্থগিতাদেশ চাইলে গত ১৮ অক্টোবর বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ সাজা আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ওই চারজনের সাজার ওপর সর্বশেষ স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে ১৫ নভেম্বর আদালতে আবেদন করে দুদক।

১৬ নভেম্বর চেম্বার জজ আদালত ১৮ অক্টোবরের স্থগিতাদেশটি স্থগিত করেন। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ নিম্ন আদালতে সাজার ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নেন। এর ফলে এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়েছে।

খুরশিদ আলম জানান, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে এখন তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘আমি দুর্নীতি দমন কমিশনে ফোন করে জানিয়ে দেয়েছি এখন তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবে।’ অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০০৮ সালে এইচ বি এম ইকবালকে ১০ বছর, অসত্য সম্পদ বিবরণী দাখিলের কারণে তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে তিন বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন বিশেষ জজ আদালত।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.