হত্যায় দুজনের যাবজ্জীবন 'পল্লি চিকিৎসক'


কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের পল্লি চিকিৎসক কামরুল ইসলামকে হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন একই উপজেলার লালনগর গ্রামের রিয়াজ আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (২৫) ও কোদালিয়া গ্রামের মৃত আবদুল মালিথার ছেলে কামরুল ইসলাম হত্যার শিকার ব্যক্তি ও একজন আসামির নাম একই।

পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে জিয়াউর রহমান, কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন অপহরণ করেন। পরে কামরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ধ্যায় কোদালিয়া গ্রামের মাঠে তাঁর লাশ ফেলে রাখে।
রায় ঘোষণার সময় জিয়াউর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 কামরুল ইসলাম পলাতক। মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেলে পল্লি চিকিৎসক কামরুল ইসলাম কোদালিয়া গ্রামের আজিজুল হকের বাড়িতে রোগী দেখতে যান।

পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে জিয়াউর রহমান, কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন অপহরণ করেন। পরে কামরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ধ্যায় কোদালিয়া গ্রামের মাঠে তাঁর লাশ ফেলে রাখে। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

 কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, প্রধান আসামি জিয়াউর রহমান ও কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাঁদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। বাকিদের খালাস দেন আদালতের বিচারক। পরে আদালতে উপস্থিত আসামি জিয়াউর রহমানকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.