৮শ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে সীমান্তে : ওবায়দুল কাদের


সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাহাড়ে কোন সীমান্ত সড়ক নেই কিন্তু সেনাবাহিনী আগামী বছর থেকে ৮শ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণ শুরু করবে।
বাংলাদেশে সীমান্তে রক্ষা প্রাচীর নেই। পৃথিবীর সব দেশে সীমান্ত সড়ক আছে কিন্তু বাংলাদেশে নেই। এই কাজটি আমরা সেনাবাহিনীকে শুরু করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সহযোগি সেনাবাহিনী।

সড়ক যোগাযোগে যে নীরব বিপ্লব থেকে দৃশ্যমান বিপ্লব হতে যাচ্ছে এই বিপ্লবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা সেনানিবাসে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

কুমিল্লা সেনানিবাসের এমআর চৌধুরী গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো: রাশেদ আমিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ বিভিন্ন জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লা সেনানিবাসের এরিয়া কমান্ডার ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো: রাশেদ আমিন বলেছেন, আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সূচিত বাংলা জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলন, ক্রমান্বয়ে ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণআন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করে। এই পরিপূর্ণতা রক্তস্নাত, এ অর্জন দেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার চূড়ান্ত আত্মত্যাগের ফসল।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কুমিল্লা অঞ্চলের মুক্তিকামী জনতার সংগ্রাম, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ অতুলনীয়। ১৯৭১ সালেল ২৯ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের সকল বাঙালি সেনা কর্মকর্তা, সেনা সদস্যবৃন্দ, কুমিল্লা শহরের অনেক গণমান্য ব্যক্তিবর্গকে পাক হানাদার বাহিনী অর্তকিত হামলা চালিয়ে অন্তরীন করে ফেলে। এর পর শুরু করে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে। ২৪ জন সামরিক কর্মকর্তা,৩শ’ জন বিভিন্ন পদবীর সেনা সদস্য, ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল ও কলেজের ১১ জন শিক্ষকসহ সেনানিবাসের প্রায় ৫শ জন ব্যক্তিকে সে দিন পাক বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ভিশন ২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতির নিদর্শন দৃশ্যমান। সেনাবাহিনীর জন্য আধুনিক ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন, বিমান বাহিনীর জন্য আধুনিক যুদ্ধ বিমান, নৌবাহিনীর জন্য আধুনিক সাবমেরিন ও যুদ্ধ জাহাজ এর কয়েকটি উদাহরণ মাত্র।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দেশের জন্য বয়ে এনেছে সম্মান ও গৌরব। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর মোট ১২৬ জন শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাদের এই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ দেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান। বিশ্ব শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত আছে। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস এক গৌরবময় ইতিহাস।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে আমরাও সেই গৌরবের অংশীদার। মুক্তিযুদ্ধের রক্তক্ষয়ী দিনগুলোতে গড়ে উঠা এই বাহিনীর সাথে জনগণের বন্ধন অত্যন্ত দৃঢ়। সশস্ত্র বাহিনীর এই মহান দিনে এই বন্ধন দৃঢ় করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.