ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ‘মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ’ করায় এক বর্গাচাষির দুই পা হারানোর ঘটনায় আসামিদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত এই আদেশ দেয়। এই আদেশ বাস্তবায়ন করা হল কি না- তা প্রতিবেদন আকারে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে আতদালতে জানাতে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোয় মঙ্গলবার ‘দুই পা গেছে, এখন ভিটেছাড়া হওয়ার ভয়’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত এই আদেশ দেয়।
পত্রিকাটি উঁচু করে দেখিয়ে বিচারক ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাসকে বলেন, “দেখেছেন খবরটা? আমরা স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেব।” ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ সময় বলেন, ওই ঘটনায় থানায় এফআইআর হয়েছে। বিচারক এ সময় বলেন, “ক্রিমিনাল মামলা... তা তো হবেই। অ্যারেস্ট করবেন না... ঘুরে বেড়াবে যুবলীগ নেতা... নো।” পরে আদালতের আদেশে বলা হয়, ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী রুজু হওয়ার কথা রয়েছে।
সে অনুসারে ৭২ ঘণ্টার ভেতর আসামিদের কারাবন্দি করে আদালতকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হল। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কালীগঞ্জের ইউএনও ও ওসিকে বিবাদীর তালিকায় রাখা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় গত ১৬ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার নলভাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি শাহানূর বিশ্বাসকে লোহার শাবল, হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করা হয়। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন শাহানূরের দুটি পাই হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনায় প্রথমে মামলা নিতে চায়নি পুলিশ।
পরে শাহানূরের আত্মীয় মো. ইয়াকুব আলী সাতজনকে আসামিকরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এবং শাহানূরের ভাই মহিনূর ১৬ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি কামাল কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে ওই প্রতিবেদনের তথ্য।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.