রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনা বিলাসবহুল একটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। গাড়িটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্টিফেন প্রিসনার ব্যবহার করতেন।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় তিনি ঢাকায় গাড়িটি এনেছিলেন। অনুমতি ও শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের গাড়িটি অপর এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানিয়েছেন, উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের আশিকুল হাসিব তারিক নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে কূটনৈতিক শুল্ক সুবিধায় কেনা মিতসুবিশি ব্রান্ডের একটি বিলাসবহুল গাড়ি আটক করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার গাড়িটি ওই বাড়ির গ্যারেজ থেকে তুলে আনা হয়। আজ মঙ্গলবার কাগজপত্র যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে গাড়িটি আটক দেখানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি গ্যারেজ থেকে নিয়ে আসার সময় গাড়ির মালিক বাসায় ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী গাড়ির কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। শুরুতে তিনি শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেন। তবে তিনি মৌখিকভাবে স্বীকার করেছেন যে গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় দেশে এনেছেন-এমন এক ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁরা কিনেছেন।
কালো গাড়িটিতে হলুদ রেজিস্ট্রেশন প্লেট নম্বর (এজস ০৫৯) ছিল। হলুদ নম্বর প্লেটসংবলিত গাড়ি শুধু বিশেষ সুবিধা বা অধিকারভোগী ব্যক্তি (প্রিভিলেজড পারসন) ব্যবহার করতে পারেন। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, গাড়িটি প্রিভিলেজড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা। শুল্কমুক্ত হিসেবে ছাড় করা গাড়ি বিক্রি না করার শর্ত থাকলেও তা মেনে চলা হয়নি।
গাড়িটি ইউএনডিপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্টিফেন প্রিসনার শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছিলেন। তিনি অবৈধভাবে গাড়ি হস্তান্তর করে ঢাকা ছেড়েছেন। ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া শুল্ক পরিশোধ না করে গাড়িটি কিনে আশিকুল হাসিব তারিক আইন ভঙ্গ করেছেন।
হলুদ প্লেটের পদাধিকার না থাকলেও তিনি এটি ব্যবহার করে অসাধুতার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি নিজেও ইউএনডিপির সাবেক কর্মী কিন্তু তিনি প্রিভিলেজড পারসনের সুবিধাপ্রাপ্ত নন।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.