টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১২০ রানের লক্ষ্য একেবারে অনায়াসই বলা যায়। কিন্তু বরিশাল বুলসের বিপক্ষে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতেও কিছুটা কষ্ট করতে হয়েছে খুলনা টাইটানসকে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে খেলতে হয়েছে ৩৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস।
শেষপর্যন্ত অবশ্য ৮ বল হারে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে খুলনা। আর এই জয় দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও নিজেদের দখলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। ১২০ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই খুলনা হারিয়েছিল ওপেনার হাসানুজ্জামানের উইকেট।
চতুর্থ ওভারে রিকি ওয়েসেলসও ফিরে যান মাত্র ৫ রান করে। সে সময় স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছিল মাত্র ১৬ রান। নবম ওভারে তাইবুর রহমানকেও সাজঘরে ফিরিয়ে অকল্পনীয় কিছু ঘটিয়ে দেওয়ার স্বপ্নই জেগেছিল বরিশাল শিবিরে। তবে এরপর প্রতিপক্ষকে আর কোনো সুযোগ দেননি শুভাগত হোম ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন খুলনার এই দুই ব্যাটসম্যান। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ৪০ রান করে শুভাগত আউট হয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
খেলেছেন ৩৫ বলে ৩৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন নিকোলাস পোরান। হেরে গেলেও বরিশালের পক্ষে দারুণ বোলিং করে নজর কেড়েছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার রুম্মান রইস। চার ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। ভালো বোলিং করেছেন বাংলাদেশের অফস্পিনার তাইজুল ইসলামও।
তিনি চার ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ৩১, শাহরিয়ার নাফীসের ২৩ ও এনামুল হকের ২০ রানের ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১১৯ রান জমা করেছিল বরিশাল বুলস। আজকের এই জয়ের পর ৮ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে খুলনা টাইটানস।
এক ম্যাচ কম খেলে ১০ ও ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের দখল নিয়েছে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস। ৮ ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস। ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে আছে রাজশাহী কিংস ও বরিশাল বুলস। গতবারের শিরোপাজয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস আছে একেবারে তলানিতে। তাদের ঘরে জমা হয়েছে মাত্র ২ পয়েন্ট।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.