পুলিশের কানের পর্দা ফাটানো ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার


শরীয়তপুরে পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় দিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা আক্তার হোসেন ঢালীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার ইমিগ্রেশন পুলিশ।


গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় আক্তারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। জেলা পুলিশ শুক্রবার তাঁকে শরীয়তপুর নিয়ে আসছে। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তথ্য অনুযায়ী ইমিগ্রেশন পুলিশ আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

আক্তার হোসেন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাচ্ছিলেন।’ পুলিশ জানায়, ১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আক্তার হোসেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশীষ সাহার কক্ষে যান। একটি চিকিৎসা সনদ দেওয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা পুলিশের নায়েক সেলিম মাতুব্বর প্রতিবাদ করেন। তখন আক্তার তাঁকে মারধর করেন। তাঁর থাপ্পড়ে পুলিশ সদস্যের কানের পর্দা ফেটে যায়।

 এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম দুটি মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আক্তার হোসেন ঢালী, তাঁর মামা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও পালং তুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাগরণ শেখকে আসামি করা হয়। সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও পালং তুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাগরণ শেখ গ্রেপ্তার হয়ে জেলা কারাগারে রয়েছেন।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.