মুশফিকের বরিশালের বিপক্ষে পারলো না রাজশাহী


বরিশাল বুলস। ড্যারেন স্যামি, সাব্বির রহমান, মেহেদি মিরাজদের রাজশাহী কিংসকে ১৭ রানে হারিয়েছে বরিশাল। এই জয়ে কোনো লাভ হয়নি ৮ পয়েন্ট অর্জন করা বরিশালের।


পয়েন্ট হারিয়েও রাজশাহী ১০ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের চার নম্বরে। সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সাকিবের ঢাকা, ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে তামিমের চিটাগং। আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬১ রান তোলে বরিশাল। অর্ধশতক হাঁকান ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান।

জবাবে, নির্ধারিত ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে রাজশাহীর ইনিংস থামে ১৪৪ রানে। টস জিতে মুশফিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। বরিশালের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন ডেভিড মালান এবং জীবন মেন্ডিস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ ফেরান বরিশালের ওপেনার জীবন মেন্ডিসকে।

ফরহাদ রেজার তালুবন্দি হওয়ার আগে মেন্ডিস ৮ বলে ৬ রান করেন। দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর জুটি গড়েন ডেভিড মালান এবং ফজলে মাহমুদ। দুর্দান্ত গতিতে টেনে নিয়ে চলেন বরিশালকে। ৭১ বলে স্কোরবোর্ডের আরও ১০০ রান যোগ করেন তারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে বিদায় নেন ডেভিড মালান। রানআউট হওয়ার আগে তিনি মিরপুরে ছোটো ঝড় তোলেন। তার ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর তিনটি বিশাল ছক্কার মার।

দলীয় ১০৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল। একই ওভারের শেষ বলে ফরহাদ রেজা ফেরান ফজলে মাহমুদকে। ৪৩ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় ফজলে মাহমুদ করেন ৪৩ রান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে বিদায় নেন মুশফিক। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। মোহাম্মদ সামির বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ৮ রান করা মুশফিক।

পেরেরার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৯ রান। তার ২২ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার আর শাহরিয়ার নাফিস ৬ বলে দুই ছক্কায় ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। গত ১৩ নভেম্বর দু’দলের প্রথম সাক্ষাতে চার রানের জয় পেয়েছিল বরিশাল। ১৯৩ রানের লক্ষ্যে সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে (৬১ বলে ১২২) ছয় উইকেটে ১৮৮ করতে সমর্থ হয় রাজশাহী।

বরিশাল বুলসের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে দুই ওপেনার দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ওপেনিংয়ে নামা নুরুল হাসান সোহান বিদায় নেন। দলীয় ২৭ রানে মনির হোসেনের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন ১২ রান করা সোহান। দ্রুত বিদায় নেন সাব্বির রহমানও। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় রায়াদ এমরিতের বলে ডেভিড মালানের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন ৮ রান করা সাব্বির। দলীয় ৫৩ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার মুমিনুল হক।

অষ্টম ওভারে এনামুল হকের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৬ বলে একটি চার আর একটি ছক্কায় ১৬ রান করা এই ওপেনার। এরপর বিদায় নেন রকিবুল হাসান। ইনিংসের ১১তম ওভারে থিসারা পেরেরার বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন রকিবুল। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ রান। দলীয় ৬৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রাজশাহী। এরপর জুটি গড়েন জেমস ফ্রাঙ্কলিন এবং সামিত প্যাটেল, এই জুটি থেকে আসে ৪৪ রান।

ইনিংসের ১৭তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বি ফেরান ফ্রাঙ্কলিনকে। পেরেরার তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি ১৮ বলে ১৮ রান করেন। দলীয় ১১২ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় রাজশাহী। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ফেরেন সামিত প্যাটেল। রায়াদ এমরিতের বলে শাহরিয়ার নাফিসের তালুবন্দি হওয়ার আগে তিনি করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান। তার ৫১ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চার আর একটি ছক্কায়। একই ওভারে বিদায় নেন ফরহাদ রেজা (৪)।

এনামুলের তালুবন্দি হন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজশাহীর দরকার ছিল ২৮ রান। দলপতি ড্যারেন স্যামি আর মেহেদি মিরাজ মিলে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি। স্যামি ৭ বলে ১০ রান করেন। মিরাজ রানের খাতা খুলতে পারেননি।
Share on Google Plus

About Unknown

0 comments:

Post a Comment

Thanks for your comments.