বেশির ভাগ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন মিডিয়া ইউনিটির দাবির মুখে গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গেছে।
আর তাদের এই দাবি পূরণ হওয়ার কারণে ‘মিডিয়া ইউনিটি’র কার্যক্রম আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা ক্লাবে সংগঠনের এক সংহতি সমাবেশে এ কথা জানানো হয়। সংগঠনের নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কারণেই এত দ্রুত দাবি পূরণ হয়েছে।
সমাবেশে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাটকের কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে মিডিয়া ইউনিটির আহ্বায়ক ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে। আজ (গতকাল) ১১টা ১ মিনিট থেকে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হয়েছে। তবে বাকি দাবি পূরণের জন্য আন্দোলন চলবে।
বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় হলো উল্লেখ করে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক মেধাবী আছে। তাদের দিয়ে অনুষ্ঠানের মান বাড়াতে হবে। এ জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেবে চ্যানেলগুলো।’
বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) সদস্যদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও মামলার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি মামলা পর্যন্তও গড়ায় আমাদের সব ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বরের মিডিয়া ইউনিটির সমাবেশে আলোচনার জের ধরে কয়েক দিন আগে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর মানহানি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ও মোজাম্মেল বাবুকে। গতকালের সংহতি সমাবেশে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আমাকে ১৩ নভেম্বর ডাকলেই এই ভুল-বোঝাবুঝি হতো না। বিষয়টি মামলা পর্যন্তও হয়তো গড়াত না।
গতকালের সংহতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, এনটিভির চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী, চ্যানেল ২৪-এর চেয়ারম্যান এ কে আজাদ, দীপ্ত টিভির চেয়ারম্যান কাজী জাহিদুল হাসান, গানবাংলা চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস, এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, মিডিয়া ইউনিটির সদস্যসচিব আরিফ হাসান প্রমুখ।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.